মিঠুনের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে! পর পর একাধিক গাড়িকে ধাক্কা, কীভাবে এই ঘটনা
মিঠুনের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে! পর পর একাধিক গাড়িকে ধাক্কা, কীভাবে এই ঘটনা
মিঠুনের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল শনিবার। এদিন বিষ্ণুপুর থেকে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে তিনি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন। কনভয়ের সামনে সাইকেল এসে পড়ায় বিপত্তি বাধে। বিজেপি নেতার গাড়ি সাইকেলটিকে বাঁচাতে গেলে পর পর তিনটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। ওই তিনটি গাড়ির সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে দুর্গাপুরে যাচ্ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে একটি দলীয় কর্মী-সম্মেলনে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সেই সভায় যাওয়ার পথে একটি সাইকেল এসে পড়ে কনভয়ের সামনে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আচমকাই ব্রেক কষতে হয়। ফলে পিছনের গাড়িগুলি পরপর ধাক্কা মারে।
মিঠুন চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গে থাকা সবাই সুস্থ ও সুরক্ষিত রয়েছেন। মিঠুন এরপর যথা সময়েই দুর্গাপুরে কর্মী-সম্মেলনে উপস্থিত হন। তিনি নিজে সুরক্ষিত থাকলেও তাঁর গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিঠুনের গাড়ির আগে ও পরে ছিল একাধিক গাড়িয় নিরাপত্তার কারণেই এই ব্যবস্থা ছিল। সেই কারণেই মিঠুনের গাড়ি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েনি।
বিষ্ণুপুর ছাড়ার পরেই ঘটনাটি ঘটে। বিষ্ণুপুর ছাড়ার পর একটি তিন মাথায় মোড়ে আচমকাই মিঠুনের কনভয়ের সামনে চলে আসে একটি সাইকেল। কনভয়ের একেবারে সামনে থাকা গাড়িয়ে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে। তার পরেই ওই গাড়ির পিছনে থাকা মিঠুনের গাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে সামনের গাড়িতে। একই সময় মিঠুনের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িও ধাক্কা মারে মিঠুনের গাড়িতে।
মিঠুনের গাড়ির সামনের অংশ খুলে গিয়েছিল। গাড়ি মেরামত করতে আসানসোল থেকে মিস্ত্রি ডেকে পাঠানো হয়। মিস্ত্রি এসে জানান গাড়ি সম্পূর্ণ ঠিক করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। তারপর মিঠুন চক্রবর্তী ওই ভাঙা গাড়িতেই দুর্গাপুরের দিকে রওনা দেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির বুথস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। সেইমতো মিঠুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে জেলায় জেলায় বিজেপির বিভিন্ন কর্মী সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। গত বুধবার পুরুলিয়া দিয়ে শুরু হয় মিঠুনের রাঢ়বঙ্গ সফর। ২৭ নভেম্বর রবিবার মিঠুনের সভা রয়েছে বোলপুরে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এদিনের কর্মী সম্মেলন থেকে মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করেন মিঠন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে তখন সবাই সিপিএমকে হারাতে একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল, এমনকী অস্বীকার করে লাভ নেই বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল। এখনও আবারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।