বিজেপি দলীয় কর্মীদেরই ‘দলবদল’ করাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরই বিতর্ক
পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তার আগে প্রতিটি দলই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এমনকী দলের শক্তিবৃদ্ধি করতে যোগদান পর্বও শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি সভারই অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগদান।
পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তার আগে প্রতিটি দলই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এমনকী দলের শক্তিবৃদ্ধি করতে যোগদান পর্বও শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি সভারই অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগদান। আর এমনই একটি যোগদান নিয়ে বিতর্ক উঠল চরমে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক ও বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলই কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছে। জনসংযোগ ও প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নেতারা। এক রাজনৈতিক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদানের প্রবণতাও বেড়েছে। বাঁকুড়ায় এমনই একটি অনুষ্ঠানে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগদানের পরেই চরমে উঠল বিতর্ক। এ যাবৎ রাজ্যের মানুষের কাছে যোগদান ও দলবদল খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে অসংখ্যবার এমন ছবির সাক্ষী থেকেছেন এ বঙ্গের মানুষ। কিন্তু মঙ্গলবারের বিকালের ছবিটা ছিল যেন একেবারেই ব্যতিক্রমী।
এদিন বাঁকুড়ার সোনামুখীর কোচডিহিতে বিজেপির একটি পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ওই সভাতে উপস্থিত ছিলেন সোনামুখীর দলীয় বিধায়ক দিবাকর ঘরামি, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা-সহ অন্যান্যরা।
এদিনের পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক দিবাকর ঘরামিদের এমন দাবির মাঝেই এক অন্য ছবি উঠে এল। সম্পূর্ণ বেসুরো গাইলেন বিজেপিতে যোগদানকারী কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, তাঁরা কোন দলেরই কর্মী ছিলেন না। এই প্রথম তাঁরা বিজেপিতেই নাম লেখালেন।
বিজেপিতে যোগদানের পরেই বিতর্ক বেড়েছে। তবে এ বিষয়ে সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখার্জী বলেন, বিজেপির লোককে ডেকে এনে বিজেপিতেই যোগদান করানো হচ্ছে। ওরা দেখাচ্ছে ওদের দলে কত লোক আসছে। এসবই ভাঁওতা। পুরো পার্টিটাই ভাঁওতা দিয়ে চলছে।
তৃণমূল নেতা বলেন, এসব নিয়ে আমরা আর কী বলব। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরাই তো বলছেন, আমরা তৃণমূল কগ্রেস করি না। বিজেপির মিথ্যাচার সামনে চলে আসছে। প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে বিজেপি একটা মিথ্যাবাদী দল। তারা শুধু মিথ্যাচার করে বেড়ায়। আজ পর্যন্ত মিথ্যা প্র্তিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে এসেছে। সবেতই এবা মিথ্যা বেসাতি করে চলেছে।