তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল! খোদ দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে জোরকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রভাবশালী নেতার বিরদ্ধে
জোরপূর্বক' দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগপত্রে সই করানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের দেশড়া কোয়ালপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।ণহীরা কুণ্ডু নামে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ
জোরপূর্বক' দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগপত্রে সই করানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের দেশড়া কোয়ালপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
হীরা কুণ্ডু নামে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও অফিসে বসে তিনি যখন কাজ করছিলেন, ঠিক সেই সময় আলো, পাখা, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
দলের অঞ্চল সভাপতি গুরুপদ পাত্র, সদস্য কল্যাণ দে, উপপ্রধান ইসরাফিল খাঁ, স্থানীয় নেতৃত্ব রাম ঘোষ, অধীর ঘোষরা, নূর আলিরা হঠাত করেই তাঁর ঘরে আসেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, এর পরে তৃণমূলের নেতারা হীরা কুন্ডুকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ছাড়তে চাপ দেয় বলে অভিযোগ। আর তা না করতে চাইলেও তাঁকে জোর করে, গালিগালাজ করে পদত্যাগপত্রে সই করাতে বাধ্য করানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিষয়টি তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, দলের ব্লক সভাপতি ও জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, এই ধরণের কোন খবর আমার কাছে নেই। একই সঙ্গে এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি দাবি করেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে কেন এমন চাপ দেওয়া হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বাঁকুড়া তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, অতি উৎসাহে কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে 'অনাস্থা' প্রস্তাব আনা যাবেনা। আগে এমনটাই নিদান দিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলে ছিলেন যে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে 'মা মাটি মানুষে'র সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই অবস্থায় আমরা লক্ষ্য করছি দলের অনুমোদন ছাড়াই এক শ্রেণীর নেতা কর্মী জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বের স্পষ্ট নির্দেশ এই মুহূর্তে কোন ধরণের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন জেলা সভাপতি।
এমনকি সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীদের যদি কোন অসুবিধা থাকে তবে তারা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন। এই অবস্থায় বাঁকুড়ার প্রতিটি ব্লক সভাপতি, শহর সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্যদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি ঐ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপরেও কোন নেতা কর্মী এই নির্দেশ না শুনে কাজ করলে দল প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে বলেও তিনি জানান। কিন্তু এরপরেও কোয়ালপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।