
মাত্র ১২ হাজার টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে খুন! পুরুলিয়ায় খুনের কিনারা করল সিআইডি
পেট্রোল পাম্প থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন (Murder) হয়ে যান বাবা-ছেলে (Father-son)। ৯ জুলাই রাতে এই ঘটনা ঘটে পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার কানালি গ্রামে। সাতদিনের মাথায় সেই খুনের কিনারা করল সিআইডি। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়।

৯ জুলাই রাতে খুন বাবা ও ছেলে
৮০ বছর বয়সী মদন পাণ্ডে ছিলেন পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার। ছেলে বছর ত্রিশের কানাই ওই পেট্রোলে পাম্পেরই অপর এক কর্মী। প্রতিদিন তাঁরা সন্ধে সাতটা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ওই রাতে তাঁরা না ফেরায় দুজনকেই মোবাইলে ফোন করা হয়। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি।
সেই সময় পরিবারের সদস্যরা হেঁটেই পেট্রোল পাম্পের দিকে যান। রাস্তার ধারে বাবা-ছেলের দেহ পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের মোটর বাইক ও মোবাইল ফোন উধাও হয়ে যায়।

খুনের কিনারা সিআইডির
পুরুলিয়া জেলা পুলিসের সিআইডি ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে ধানবাদ-জামশেদপুর জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। রাত ১০.১৫ মিনিটের ফুটেজে সেখানেই সন্দেহজনক তিনজনের খোঁজ মেলে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে কাছে মাত্র ১২ হাজার টাকা ছিল। ধৃতরা সেই টাকা খুব দ্রুত খরচ করে ফেলে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা হল মাণ্ডিল বেজ, মনই বেদ, দীনেশ বেদ। এদের মধ্যে প্রথম দুজন দাদা-ভাই। বাড়ি ধানবাদে। তবে পুলিশের অনুমান খুনের ঘটনা ঘটে সাড়ে আটটা থেকে নটার মধ্যে।
পুলিশ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার। রাতেই তাদের পুরুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

থাকে বানজারা সম্প্রদায়ের মতো, রেইকি করেছিল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা চুরুলিয়ায় বানজারা সম্প্দায়ের মতো ক্যাম্প করে থাকে। এরা সাপ নিয়েও খেলা দেখায়। তবে খুনের আগে তারা এলাকায় রেইকিও করে। ধৃতদের অনুমান ছিল ম্যানেজার বাড়ি যাওয়ার সময় প্রচুর টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও এলাকার বাসিন্দা দীপেন মাহাতকে টার্গেট করলেও লাঠি আঘাত নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ধৃতরা রেইকি করে জেনেছিল ব্যাঙ্ক মিত্র দীপেন মাহাতর কাছে ল্যাপটপ ছাড়াও ৫০ হাজার টাকার মতো থাকে।

চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পুলিশ
৯ জুলাই খুনের পরে একজন মোটরবাইকে পালিয়ে যায়। বাকি দুজন ১০ জুলাই বাসে পুরুলিয়া থেকে আসানসোল যায়। তবে এই মুহূর্তে এলাকায় চুরি ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। যেভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং বানজারা সম্প্রদায়ের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে তাতে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের মনে।
কে হবেন দলের তরফে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে গুরুত্ব বৈঠক বিজেপির