মমতা কোন অস্ত্রে জব্দ হবেন আসন্ন নির্বাচনের মুখে, জানিয়ে দিলেন দিলীপ
মমতা কোন অস্ত্রে জব্দ হবেন আসন্ন নির্বাচনের মুখে, জানিয়ে দিলেন দিলীপ
রাজ্যের ৮০ শতাংশ লোককে দিদি (mamata banerjee) ২ টাকা কিলো চাল খাওয়ান। কেননা লোকের ৩০ টাকা কেজি চাল খাওয়ার পয়সা নেই। এদিন বর্ধমানে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিদি চাকরি কিংবা ব্যবসা করে দিতে পারেননি। আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জব্দ হয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ।
বাংলার মানুষের কাছে খাওয়ার টাকা নেই
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেছেন, বাংলার মানুষের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। তাই ৮০ শতাংশ লোককে ২ টাকা কেজি দরে চাল আর ৫ টাকার খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি চালু করে দিদিমনি প্রমাণ করলেন প্রশাসক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষকে ভিখারি করে রেখেছেন। তাই ৫ টাকা দিয়ে সরকারি ক্যান্টিনে খেতে হবে। তিনি দাবি করেছেন, দিদিমনির কোনও প্রকল্প সফল হয়নি। তিনি বলেন দিদি ঢপ দেন। সাধারণ মানুষ দিদির নেতাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে যাঁরা এতদিন কাটমানি খেয়েছে, তাঁদের। এগুলি লোক দেখানো, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রশাসন সরবে দিদির পাশ থেকে
দিলীপ ঘোষ বলেছেন এখন ডিএম, এসপি দিদির পাশে রয়েছেন। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণা হলেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধা চালু হয়ে যাবে। সেই সময় ডিএম, এসপি বাস দিয়ে সভায় লোক পাঠানো বন্ধ করে দেবেন। এরপর দিদির সভায় লোক আসা কমে যাবে। সেদিন দিদির দলের হাড়-পাঁজড় বেরিয়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
অনুব্রত মণ্ডলকে পাল্টা
এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের খেলা হবে স্লোগান নিয়ে। দিলীপ ঘোষ এব্যাপারে বলেছেন, আগে তিনি অনেকবার খেলেছেন। এবার পাবলিক খেলবে। আর বারে বারে বাংলাদেশ থেকে স্লোগান ধার করে নিয়ে দেখাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন। এগুলো তার প্রমাণ। অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় লোক নেই। এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ছবি তো অনুব্রত মণ্ডল দেখছেন ঘরে বসে। না হলে উনিও রথে চড়ে বসতেন। এবার তৃণমূলকে সাইডলাইনে বসে খেলা দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গ কর্মসংস্থান
কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, অন্য রাজ্যে, বা্ংলার ছেলেরা যেমন গুজরাত, হরিয়ানায় চাকরি করতে যায়, কেননা বিজেপির রাজত্বে সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই হবে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থাই রয়েছে। তার শুধু প্রয়োগ করতে হবে। ঠিক মতো পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেছেন। তিনি বলেছেন, কেবল কাটমানি আর সিন্ডিকেট করতে গেলে হবে না, বিজেপি সেটাই করে দেখাবে।
তৃণমূলের গ্রাম বাংলার ভোটব্যাঙ্কে থাবা কষাতে বিজেপির বড়সড় কর্মসূচি! কোন লক্ষ্যে গেরুয়ারা