স্বাধীনতার এতবছর পরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছল বর্ধমানের দুটি গ্রামে
স্বাধীনতার এতবছর পরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছল বর্ধমানের দুটি গ্রামে
দেশ স্বাধীনের ৭৪ বছরের মাথায় অন্ধকার ঘুচল পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী অধ্যুষিত দুটি গ্রামের। স্বাধীনতার এত বছর পরে গ্রামে বিদ্যুতের আলো আশায় খুশি গ্রামবাসীরা।
২০২০ সালে এসেও এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের স্পর্শটুকু পৌঁছায়নি পূর্ব বর্ধমানের গলসির আদিবাসী অধ্যুষিত দুটি গ্রামে। এতদিন সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই হলুদগড়ে ও কাঁটাগড়ে। সন্ধ্যার পর আলোর জন্য হ্যারিকেন নয়তো লন্ঠন অথবা লম্ফর উপর তাদের ভরসা করতে হত। তাই পাখার হাওয়া খাওয়ার সাধ এতদিন অপূর্ণই রয়ে গিয়েছিল এই দুই আদিবাসী গ্রামের মানুষজনের।
গ্রামবাসীদের
বক্তব্য,
দীর্ঘদিন
ধরে
এই
গ্রামে
বিদ্যুৎতের
কোনও
ব্যবস্থা
না
থাকায়
দূর্বিষহ
ভাবেই
জীবন
কাটাচ্ছিলেন
এই
দুই
গ্রামের
বাসিন্দারা।
তারা
হ্যারিকেন
ও
লন্ঠনের
আলোর
ভরসাতেই
দিন
কাটিয়ে
আসছিলেন।
পাখার
হাওয়া
খাওয়ার
আশা
ত্যাগ
করে
হাঁসফাঁস
গরমে
দিন
কাটানো
ছাড়া
তাঁদের
আর
কোনও
উপায়
ছিল
না।
বর্ষায়
কালে
অন্ধকার
নামলেই
গ্রামে
সাপের
উপদ্রব
দেখা
দিত।
আলোর
অভাবে
গ্রামের
ছেলে
মেয়েরা
লেখাপড়া
করতে
পারত
না।
গ্রামে
বিদ্যুৎ
পরিষেবা
যাতে
মেলে
তার
জন্য
এলাকার
বাসিন্দারা
কয়েক
বছর
ধরে
বিদ্যুৎ
দফতর
সহ
প্রশাসনের
নানা
মহলে
ঘুরে
ঘুরে
আবেদন
নিবেদনও
করে
গিয়েছিলেন।
অবশেষে
এদিন
আদিবাসী
অধ্যুষিত
হলুদগড়ে
ও
কাঁটাগড়ে
গ্রামের
বাসিন্দাদের
ঘরে
জ্বললো
বিদ্যুৎতের
আলো।
৭৪
তম
স্বাধীনতা
দিবস
পার
করে
প্রথম
বিদ্যুৎতের
আলোর
সাধ
পেয়ে
বাঁধভাঙ্গা
উচ্ছ্বাস
হলুদগড়ে
ও
কাঁটাগড়ে
গ্রামে।
বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করতে পেরে খুশির সুর শোনা গেল গলসির বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার সুবীর বিশ্বাসের গলাতেও। তিনি জানান, বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবার জন্য দুই গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করে আসছিলেন। গ্রামের মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে দুটি নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হয়। এদিন তাদের ঘরে বিদ্যুৎতের আলো জ্বলল।
তিনি আরও জানান, বিনামূল্যে আপাতত ৫০টি ঘরে কোটেশন ছাড়াই কানেকশন দেওয়া হয়েছে। এই দুই গ্রামের উপভোক্তাদের আরও সুবিধা দিতে কানেকশন পাওয়ার ৮৫০ টাকা সাত দফায় পরিশোধ করার সু্যোগ করে দেওয়া হয়েছে।
{quiz_300}