'এটাই কি শুভেন্দুর ১৪-র ডেডলাইন?' আসানসোলের ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ কুণালের
'এটাই কি শুভেন্দুর ১৪-র ডেডলাইন?' আসানসোলের ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ কুণালের
আসানসোলে কম্পল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু। শুভেন্দু অধিকারী সেখান থেকে যাওয়ার পরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি রীতিমত খোঁচা দিয়ে বলেছেন এটাই শুভেন্দু অধিকারীর ১৪ ডিসেম্বরের ডেডলাইন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১২, ১৪,২১ ডিসেম্বরের এই তিনদিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ১৪ তারিখেই ঘটল এই অঘটন। তাও আবার শুভেন্দুর অনুষ্ঠানেই।
আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু
আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিরোধী দলনেতা চলে যেতেই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তখনই ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা তেমন ভাল নয়। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রায় ৫০০০ জনকে কম্বল বিতরণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন জিতেন তিওয়ারিও সহ একাধিক বিজেপি নেতা।
কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানের দুর্ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'এটাই কি শুভেন্দুর ১৪-র েডডালাইন?' । কয়েকদিন আগেই ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটতে চলেছে বলে ডেডলাইন দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ অর্থাৎ বুধবার সেই ১৪ তারিখ। আর আজই শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ১ শিশুও রয়েছে। তাহলে কি এই বড় ঘটনার কথাই বলছিলেন শুভেন্দু অধিকারী খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে ১২ তারিখের ডেডলাইনের দিনেও বড় ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। সিবিআই হেফাজতে মারা গিয়েছেন বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ।
পুলিশের অনুমতি না নিয়েই অনুষ্ঠান
পুলিশের অনুমতি না নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আসানসোলের পুলিশ কমিশনার। ৫০০০ জনের কম্বল বিতরণের মত জায়গা ছিল না। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি দাবি করেছেন, আগে থেকে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। চিঠিতে লেখা হয়েছিল মেগা ইভেন্ট। পুলিশ অনুষ্ঠানের সময়ও ছিল। তারপরেও কীভাবে পুলিশ কমিশনার এই দাবি করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ চক্রান্ত
এই ঘটনাকে পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যৌথ চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি দাবি করেছেন যেভাবে লালন শেখের রহস্য মৃত্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে। এখানেও সরকম ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির উপর চাপ তৈরি করার জন্যই পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।