২০২৪ সালে একসঙ্গে লোকসভা ও বাংলার বিধানসভা ভোট, কেন এ কথা বললেন শুভেন্দু
মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙেছে, এবার কি বাংলাতেও সেই পরিকল্পনা কষছে বিজেপি? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার তেমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির এক জনসভা থেকে।
মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙেছে, এবার কি বাংলাতেও সেই পরিকল্পনা কষছে বিজেপি? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার তেমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির এক জনসভা থেকে। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় এক জনসভায় দাঁড়িয়ে বিধানসভার বিরোদী দলনেতা তথা নন্দীগ্রমের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ২০২৪ সালেই একসঙ্গে লোকসভা ও বাংলার বিধানসভা ভোট হবে।
বাংলাতেও কি মহারাষ্ট্রের মতো ‘খেলা' হবে
কেন এ কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০০-র বেশি আসনে জিতে বাংলার সরকার গড়ার পর কী করে ফরে ২০২৪-এ বিধানসভা ভোট হবে, তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী বাংলার বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন। এখানেও কি মহারাষ্ট্রের মতো 'খেলা' হবে! সে প্রশ্ন কিন্তু রয়ে যাচ্ছেই।
২০২৪ সালে ভোট হবে একসঙ্গে
শুভেন্দু অধিকারী এদিন তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে বলেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা বাংলার এই সরকারকে তুলে ফেলে দেব। তারপর একসঙ্গে বাংলায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হবে। মোদী সরকারের আট বছর-পূর্তি উপলক্ষে একটি জনসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবেই পরাস্ত করা হবে। ২০২৪ সালে ভোট হবে একসঙ্গে।
হিংসামুক্ত রাজনীতি ভয়মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ উপহার
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র রাজ্য যেখানে হিংসাযুক্ত রাজনীতি হয়। ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এই সরকারের আমলে। তাই আমরা হিংসামুক্ত রাজনীতি ভয়মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ উপহার দিতে চাই। আমারা এই স্লোগান নিয়ে লাগাতার সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই পশ্চিমবাংলার জল্লাদ, অত্যাচারী, জিহাদিদের সরকারকে ছুড়ে ফেলব বঙ্গোপসাগরে।
যে জন্য দরকার এই সরকারকে উৎখাত করা
শুভেন্দু এদিন আওয়াজ তোলেন, আমরা ঘুষমুক্ত মেধাযুক্ত কর্মসংস্থান চাই। কাটমানি-মুক্ত নাগরিক পরিষেবা চাই। এ রাজ্যে পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশের এখন দুটো কাজ। পিসি আর ভাইপোর নিরাপত্তা দেওয়া এবং বিজেপি নেতাদের রাস্তায় আটকানো। তাই আমরা রাজনীতির প্রভাবমুক্ত পুলিশ চাই। সেজন্যই দরকার এই সরকারকে উৎখাত করা।
মাননীয়ার অটো বায়োগ্রাফিতেও থাকবে আতঙ্কের কথা
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিনরাত মাননীয়ার একটাই আতঙ্ক ১৯৫৬। এই আতঙ্ক তার কোনদিনও ঘুচবে না। মাননীয়ার অটো বায়োগ্রাফিতেও এই আতঙ্কের কথা লেখা থাকবে। এদিন আবার শুভেন্দু তাঁকে কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার বলে খোঁচা দেন। ভোটের পর গ্রামে অত্যাচার হয়েছে। আতঙ্কের পরিবেশ, সন্ত্রাসের পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি ২০২৪ সালের বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একসঙ্গে হবে। আমরা কাটমানি-সিন্ডিকেটের সরকারকে একসঙ্গে গণতান্ত্রিকভাবে তুলে ফেলে দেব।