অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ধেড়ে ইঁদুর! খাঁচা-বন্দি করার হুঁশিয়ারি বিজেপির সৌমিত্রের
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ধেড়ে ইঁদুর বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে একটি প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে তাঁকে ধেড়ে ইঁদুর বলে কটাক্ষ করে খাঁচা বন্দি করার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি।
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ধেড়ে ইঁদুর বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে একটি প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে তাঁকে ধেড়ে ইঁদুর বলে কটাক্ষ করে খাঁচা বন্দি করার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। একেবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে তিনি বোমা ফাটালেন।
বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, এই রাজ্যের ধেড়ে ইঁদুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত জেলে যাবে। অভিষেকের শ্যালিকার বাড়ি কোথায় সে প্রশ্নও তোলেন সৌমিত্র। তিনি বলেন রাজ্যে কয়লা চুরি, বালি চুরি, গরু চুরির পর তৃণমূলের নেতারা চাকরিও চুরি করেছে। তাই তাঁদের জেলে যেতে হবেই।
সৌমিত্রর কথায়, দুর্নীতির দায়ে যেমন জয়ললিতা, লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে যেতে হয়েছে, ঠিক ওইভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেলে যেতে হবে। ডিসেম্বরেই একজন গ্রেপ্তার হবেন বলে দাবি করেন সৌমিত্র। সৌমিত্র বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করে দেখাক, সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন সৌমিত্র।
এদিন বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন রাজ্য কিষান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির সদর জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব এবং বিজেপির কর্মী সমর্থকরা জামালপুর ব্লক অফিস পর্যন্ত মিছিল করেন। তারপর অফিসের সামনে একটি বিক্ষোভ সভা করেন।
এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে সারের দাম বৃদ্ধি এবং কালোবাজারি বন্ধ করার দাবি নিয়ে জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সারের অত্যাধিক দাম বাড়িয়ে কার্যত কৃষকদের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যজুড়ে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। তিনি জামালপুরের কৃষকদের এক হয়ে এর প্রতিবাদে সোচ্চার হতে আহ্বান করেন।
এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জামালপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান জানান, সার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারকে হেয় করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে তারা। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সার বাংলায় কম দেওয়া হওয়া হয়েছে। তবুও সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকদের সার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য।
কয়েকটি এলাকায় কালোবাজারির অভিযোগ করা হয়েছে। ব্লকের কৃষি দফতরে আসামাত্রই ওই সব জায়গাগুলিতে হানা দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার। কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে এবং একজনকে শোকজও করা হয়েছে। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, সঙ্গে মানুষ নেই, তাই সাকুল্যে দু-একশো লোক নিয়ে এসে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জামালপুরের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে বিশ্বাস ও ভরসা করে। তাই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগকে তারা তোয়াক্কা করে না। তারা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু জামালপুর নয়, সারা রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে গ্রামবাংলার কৃষক সমাজ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে।