মমতার কথাই সত্যি! প্রমাণ পেয়ে গিয়েছেন সাংসদ, আসানসোলে দরাজ সার্টিফিকেট শত্রুঘ্নের
মমতার কথাই সত্যি! প্রমাণ পেয়ে গিয়েছেন সাংসদ, আসানসোলে দরাজ সার্টিফিকেট শত্রুঘ্নের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সত্যি। পরতে পরতে সেই প্রমাণ পেয়ে যাচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোলে সাংসদ উৎসবের উদ্বোধন করে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাসংদ। মমতা বন্যোাণপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হয়ে যা বলে এসেছেন, নিরপেক্ষতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তা ধ্রুব সত্য, এ কথা ফলাও করে জানালেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
তাঁর কথায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে। কেন্দ্রের এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এদিন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদও সরব হলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে। অভিনেতা ও সাংসদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, এনআইএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলেছেন, তারসঙ্গে তিনি সহমত। একশো শতাংশ সহমত হয়েই তিনি বলছেন, আপনারা কেন্দ্রের ঘৃণ্য এজেন্সি রাজনীতিরে প্রমাণ পেয়ে চলেছেন প্রতি মুহূর্তেই।
শত্রুঘ্নের কথায়, সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিই বিরোধী দলগুলির পিছনে লাগছে। শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা- সমস্ত দলকেই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে নাস্তানাবুদ করছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছেন। আর তার হাতেগরম প্রমাণ হল শিবসেনা সাসংদ সঞ্জয় রাউতের জামিন। দিন কয়েক আগেই তিনি জামিন পেয়েছেন।
শত্রুঘ্ন বলেন, মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর হয় শিবসেনা নেতার। আদালত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য ভর্ৎসনা করা হয়েছে। আর শুধু সঞ্জয় রাউথ বা শিবসেনা নয়, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করে চলেছে সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই।
শত্রুঘ্ন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভালোই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন সেই মন্ত্রী, যিনি ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা নিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। মোদীজি ভয় পেয়েছেন বলেই বিভিন্নভাবে ওঁকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই সব থেকে সরব হচ্ছেন। অকারণ হয়রানি করছেন। এটা মোদীজি ও বিজেপির একটা হীন কৌশল।
তিনি বলেন, ভুলে যাবেন না ওঁর বিরুদ্ধে যত আগ্রাসন হবে, জনমত ততটাই শক্তিশালী হয়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। সুতরাং এজেন্সিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকরী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।
অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ ঠিক কোন পর্যায়ে, কবে নির্মাণ কাজ শেষ, কী বলছে ইন্দো-ইসলামিক ট্রাস্ট