পদ দিয়েও আটকানো গেল না স্থানীয় নেতাদের! বর্ধমানে বিজেপির যুব মোর্চায় বড় ভাঙন
পদ দেওয়ার পরেও শেষ রক্ষা করতে পারল না বিজেপি (bjp)। দিন চারেক আগে বর্ধমান শহরে চার নম্বর মণ্ডলের বিজেপি যুব মোর্চার পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পদাধিকারীদের বেশিরভাই তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন। যার জেরে এলাকায় বিজেপির যুব সংগঠনে বড় ধাক্কা লাগল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।

একাধিক বিজেপি যুব নেতার বিজেপিতে যোগদান
বর্ধমানের বেড় মোড়ে এক অনুষ্ঠানে পদত্যাগী বিজেপি নেতাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির যুব মোর্চার ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অমিত অধিকারী, সম্পাদক শুভদীপ হাজরা, বুথ সভাপতি সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে নেপালবাউল দাস, লিগাল কমিটির সদস্য শেষ বাপন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা বলেছেন, বিজেপি পদ দেওয়ার লোক পাচ্ছে না। তাই অস্বচ্ছ ব্যক্তিদের বিজেপিতে যএাগ দিচ্ছেন। অন্যদিকে যাঁরা ভাল তাঁরা তৃণমূলে ফিরে আসছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই যোগদান
দলত্যাগী বিজেপি যুব মোর্চার নেতারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতেই এই যোগদান। তাঁদের আরও অভিযোগ, তাঁদের যে পদ দেওয়া হয়েছে তাও জানানো হয়নি। পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণি পাশ এক ব্যক্তিকে লিগাল কমিটির সদস্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে দলত্যাগী নেতাদের তরফে।

পাল্টা দাবি বিজেপি যুব মোর্চার
বিজেপি যুব মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর কমিটি গড়া হলেও, ২৩ ডিসেম্বর সেই কমিটি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশা তাদের আরও অভিযোগ, তৃণমূল সন্ত্রাস করে, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে যুব মোর্চার সদস্যদের দলে টানছে। তাদের দাবি তৃণমূলে যোগ দিলেও অনেকেই বলছেন, তাদের মন পড়ে পয়েছে বিজেপিতে। বিজেপি যুব মোর্চার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, বর্ধমানের অনেক তৃণমূল নেতাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। তবে এই দলবদলে তৃণমূল এলাকায় অক্সিজেন পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

বড় দলবদল হয়েছে দিলীপ ঘোষের গড়ে
এর আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে বড় দলবদল দেখা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়েও। সেপ্টেম্বরে দিলীপ ঘোষ যখন সংসদের অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সেইসময় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এলাকার চার প্রভাবশালী নেতা। সেই চার নেতার মধ্যে ছিলেন, সংসদ প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাজদীব গুহ, বিজেপির খড়গপুর উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি অজয় চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং এবং এলাকার বিজেপি নেতা সজল রায়। সেই সময় দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের দলে টানা হচ্ছে।

শুভেন্দুকে সরানো হয়েছিল ভাইপোর জন্যই, তৃণমূল ছাড়ার কারণ প্রকাশ একুশের আগে