সিবিআই তদন্তের মধ্যেই গরু পাচারের ছক ভেস্তে দিল পুলিশ! র্যাডারে বর্ধমানের হাট
গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাচার মামলাতে কার্যত প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। আর এই তদন্ত চলাকালীনই চলছে গরু পাচার। তাও আবার কিনা সিবিআ
গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাচার মামলাতে কার্যত প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। আর এই তদন্ত চলাকালীনই চলছে গরু পাচার। তাও আবার কিনা সিবিআইয়ের র্যাডারে থাকা বীরভূম থেকেই।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত চলাকালীনই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
গোপনে গরু পাচারের চেষ্টা চলছিল।
জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের উপর দিয়ে গোপনে গরু পাচারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সেও ছক ভেস্তে যায়। হাতেনাতে গরু পাচারকারীদের ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূম থেকে গরুগুলিকে আনা হচ্ছিল। আর তা পূর্ব বর্ধমানের রুট দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার ছক ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু তা সীমান্ত পার হওয়ার আগেই রুখে দেয় পুলিশ। যা অবশ্যই রাজ্য পুলিশের কাছে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিবিআই শঙ্কায় রুট বদলাচ্ছে পাচারকারীরা
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০ টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে বীরভূমের সিবিআইয়ের কড়া তৎপরতা চলছে। চলছে নজরদারীও। এই অবস্থায় বর্ধমানের রুটকেই সম্ভবত পাচারকারীরা ব্যবহার করছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ফলে এই রুটেও নজরদারি চালাচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অন্যদিকে বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাট এই মুহূর্তে সিবিআই নজরদারীতে রয়েছে। এই হাট থেকেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ত বলে অভিযোগ। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, শুধু বীরভূমই নয়, পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি হাটের দিকেই সিবিআই আধিকারিকরা নজর দিচ্ছেন বলে খবর। এই জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে একাধিক হাট বসে বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও গুসকরায় হাট থেকেও গরু পাচার হয় বলে সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে।
নজরে অনুব্রত
বিশেষ করে অনুব্রত মন্ডলের দায়িত্বে বর্ধমানের এই অংশগুলিও ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ফলে এই এলাকাও এই মুহূর্তে সিবিআই র্যাডারে রয়েছে বলে খবর। খুব শিঘ্রই হয়তো এই সমস্ত জায়গাতেও সিবিআই হানা দিতে পারে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।
ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা তছরুপ থেকে একাধিক অভিযোগ! জেল হেফাজতের নির্দেশ পার্থ-অর্পিতার