১৭ হাজার চাকরি রেডি, বন্ধ করে দিলেন বিকাশবাবুরা, আসানসোলের সভায় পাল্টা চাপ মমতার
১৭ হাজার চাকরি রেডি, বন্ধ করে দিলেন বিকাশবাবুরা, আসানসোলের সভায় পাল্টা চাপ মমতার
আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর সভার মাঝেই প্ল্যাকার্ড হাতে চাকরির দাবি। দমে না গিয়ে পাল্টা চাকরি প্রার্থীকেই নিশানা করে মমতা বলেন বিকাশ বাবুদের বলুন। তাঁদের মামলার জন্যই ১৭০০০ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারছে না সরকার। চাকরি প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন এটা কোর্টে আছে কোর্টে যান। এই নিয়ে বিজেপি সিপিএমকে এক যোগে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭,০০০ চাকরি রেডি
রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলের সভা থেকে মমতা লিখেছেন ১৭,০০০ চাকরি রেডি রয়েছে। কিন্তু আদালতের মামলার কারণে সব কিছু আটকে রয়েছে। এদিনের সভার মাঝে হঠাৎই এক মহিলাকে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে চাকরি চাই। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই মমতা বলেছেন, মামলা আদালতে রয়েছে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে সেটা তো মানতেই হবে। আদালতের নির্দেশেই সব নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। আদালতে যা রয়েছে তা আর সরকারের হাতে নেই। ৫০০০ বঞ্চিতদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিকাশ রঞ্জনকে িনশানা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের সভা থেকে সরাসরি সিপিএম েনতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম করে আক্রমণ শানিয়েছে। চাকরি চাই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেছেন এটা বিকাশবাবুদের গিয়ে বলুন। তাঁরাই মামলা করে চাকরি আটকে রেখেছেন। তিনি সরাসরি সিপিএম নেতার নাম করে বলেছেন, 'আপনি চাকরি বন্ধ করেছেন, আপনিই আবার চাকরি চালু করবেন। এটা আপনাকে করতেই হবে।' রাজ্য সরকার নিয়োগ করতে চায় কিন্তু আদালতে মামলা চললে সরকার কীভাবে কাজ করবে।
পাল্টা জবাব সিপিএম নেতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও। শহরের প্রাক্তন মেয়র পাল্টা মমতাকে নিশানা করে বলেেছন, আমি মামলা করিনি, 'মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেছি। সওয়াল করাই আইনজীবীর কাজ। মামলা চলার জন্যই একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেছে। সাহস থাকলে পদত্যাগ করে দেখান।' মমতার এই মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সুজন চক্রবর্তীও। তিনিও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। শাসক দলের একের পর এক নেতা কর্মীর নাম জড়িয়েছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পরেশ অধিকারী সকলকেই জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রাজ্য সরকার গঠিত এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির একাধিক সদস্যকে জেরা করা হয়েছে।এমনকী এসএসসির দফতরে সার্ভার রুম পর্যন্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে।
২০২৪-এ বিজেপিকে খামোশ করে দিতে হবে, আসানসোল থেকে বার্তা মমতার