নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছাপিয়ে সাফল্য! 'কৃষকবন্ধু' প্রকল্পে ৮৯ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টে টাকা মমতার সরকারের
রাজ্যের কৃষকবন্ধু (Krishak Bamdhu) প্রকল্পে বড় সাফল্য। বর্ধমানে মাটি উৎসবে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৮৯ লক্ষ কৃষকের (farmers) অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ
রাজ্যের কৃষকবন্ধু (Krishak Bamdhu) প্রকল্পে বড় সাফল্য। বর্ধমানে মাটি উৎসবে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৮৯ লক্ষ কৃষকের (farmers) অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল (trinamool congress) ঘরে তুলবে।
তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
২০২১-এর
বিধানসভা
নির্বাচনের
প্রচারে
তৃণমূলের
তরফে
বলা
হয়েছিল,
বছরে
দুবার
পাঁচ
হাজার
করে
অর্থাৎ
১০
হাজার
টাকা
৬৮
লক্ষ
কৃষকদের
হাতে
তুলে
দেওয়া
হবে।
ভোটে
জেতার
পরবর্তী
একবছরে
সেই
প্রতিশ্রুতি
কার্যকর
করলেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
একবছরেই
বড়
সাফল্য
কৃষকবন্ধু
প্রকল্পে।
কৃষি
দফতরের
হিসেব
অনুযায়ী
সামনের
বছরে
এই
সুবিধা
এক
কোটি
কৃষকের
ঘরে
পৌঁছবে।
আর
পরিবারের
ভাতা
হিসেবে
এর
সুবিধা
পাবেন
আড়াই
থেকে
তিন
কোটি
মানুষ।
প্রথম পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ
প্রকল্প
চালুর
এক
বছরের
মধ্যে
৬৮
লক্ষের
লক্ষ্যমাত্রা
পূরণ
করতে
পেরেছে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সরকার।
এছাড়াও
নতুন
করে
অনেক
মানুষ
ভাতা
নিতে
এগিয়ে
এসেছেন।
ফলে
দ্বিতীয়
পর্যায়ে
নথিভুক্ত
করা
হয়েছে
আরও
২১
লক্ষের
নাম।
সামনের
বছরে
এই
সংখ্যা
আরও
বেড়ে
হবে
এক
কোটি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মাটি উৎসবের সূচনার পরে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। কৃষকদের পাশে থাকতে সরকার কীভাবে কাজ করছে সেই তথ্যও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষকরা কৃষক মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে গেলে তাঁদের ঘোরানো হচ্ছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। এরপরেই যদি এরকম কিছু হয়, তবে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্যের অপেক্ষা
২০২৩-এর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটে কৃষক সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। সেক্ষেত্রে আগেকার কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রীর মতো কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সাফল্যও তৃণমূল ঘরে তুলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
রাজ্যের প্রকল্পে সুবিধা বেশি
কেন্দ্রীয়
প্রকল্পের
সঙ্গে
রাজ্যের
কৃষকবন্ধুর
তুলনা
করে
রাজ্যের
আধিকারিকরা
দাবি
করেছেন,
সুবিধা
রাজ্যে
বেশি।
কেন্দ্রীয়
সরকার
বছরে
তিন
বার
দুহাজার
টাকা
করে
মোট
ছয়
হাজার
টাকা
দেয়।
তবে
সেই
টাকা
দেওয়া
হয়
হেক্টর
পিছু।
রাজ্যে
খুব
কম
কৃষকের
এই
পরিমাণ
জমি
রয়েছে।
যার
জেরে
এই
রাজ্যের
খুব
বেশি
কৃষক
কেন্দ্রীয়
প্রকল্পের
সুবিধা
পান
না।
তুলনায়
রাজ্যের
প্রকল্পে
টাকা
দেওয়া
হয়
এক
একর
জমির
নিরিখে।
প্রসঙ্গত
জমির
মাপে
তিন
একরে
এক
হেক্টর।
আর
ভাতাও
প্রায়
দ্বিগুন।
ফলে
রাজ্যের
প্রকল্প
কেন্দ্রীয়
প্রকল্পকে
পিছনে
ফেলেথে
বলেই
দাবি
রাজ্যের
আধিকারিকদের।
কোনও
রাজ্যেই
এই
ধরনের
প্রকল্প
নেই
বলে
দাবি
করা
হয়েছে
রাজ্য
সরকারের
তরফে।