ফিরহাদকে উৎখাতের ডাক, শুভেন্দুর সমর্থনে সোচ্চার জিতেন্দ্র তিওয়ারি
ফিরহাদকে উৎখাতের ডাক, শুভেন্দুর সমর্থনে সোচ্চার জিতেন্দ্র তিওয়ারি
শুভেন্দুকে আটকে রাখুক দল। যাঁর নেতৃত্বে নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছিল। এমন নেতাকে কিছুতেই যেতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য যা প্রয়োজন করুক দল। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে দলের সেকেন্ড িন কমান্ড পদ দেওয়ার দাবি জানালেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলের উন্নয়নের টাকা রাজ্য সরকার আটকে রেখেছে অভিযোগ করে পুরমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন তিনি। তারপরেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
বিদ্রোহী জিতেন্দ্র
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রকাশ্যে তিনি অভিযোগ করেছেন, আসানসোলের উন্নয়নের টাকা আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য ফিরহাদ হাকিমকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিমেকে পদ থেকে অপসারণের হুঁঙ্কার দিয়েছেন জিতেন্দ্র।
শুভেন্দুর সমর্থনে জিতেন্দ্র
এদিন প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দুর সমর্থনে সোচ্চার হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেথেন, গণআন্দোলনের নেতা শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাই তিনি দল ছেড়ে যাবেন এটা মেনে নিতে পারছেন না। জিতেন্দ্র দাবি করেছেন শুভেন্দুকে আটকানোর জন্য যা করা যায় দল করুক। দিদিমনির সেকেন্ড ইন কমান্ড করা হোক শুভেন্দ্ু অধিকারীকে দাবি তুলেছেন জিতেন্দ্র। তিনি মনে করেন দিদিমনির পরে দল পরিচালনা করার ক্ষমতা একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন শুভেন্দু। উপমুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন তিনি সেটা না পেয়েই পদের লোভে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
তৃণমূলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা
গতকাল বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর আজ তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। যদিও এখনও বিধানসভায় শুভেন্দুর বিদায়ক পদের ইস্তফা গৃহীত হয়নি। স্পিকার জানিয়েছেন বিধি সম্মত হয়নি শুভেন্দুর পদত্যাগ পত্র। কাজেই এখনও তিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়ে রয়ে গিয়েছেন।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠক
বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই কাঁকসায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দেখা গিয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকেও। তার পরেই জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়। যদিও পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর জিতেন্দ্র বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জানিয়েছেন দল চাইলে তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে প্রস্তুত।