বর্ধমানের অন্যতম কমলাকান্তের কালীবাড়ির পুজো আজও একই প্রথা মেনে হয়
বর্ধমানের অন্যতম কমলাকান্তের কালীবাড়ির পুজো আজও একই প্রথা মেনে হয়
কালী সাধনার অন্যতম পিঠ হল বর্ধমানের কমলাকান্তের কালী বাড়ি। রামপ্রসাদ সেনের পরেই শাক্ত পদাবলী তথা শ্যামা সংগীতের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি মহারাজ তেজশ্চন্দ্রের গুরু এবং সভাকবি ছিলেন। পুরো নাম কমলাকান্ত ভট্টাচার্য।
এই
বাড়িত
রয়েছে
কমলাকান্ত
সাধকের
পঞ্চমুণ্ডী
আসন।
কথিত
আছে,
সাধক
কমলাকান্ত
মহারাজ
তেজসচন্দ্রকে
অমাবস্যার
দিন
যোগবলে
পূর্ণচন্দ্র
দেখিয়েছিলেন।
বর্ধমানের
মহারাজ
তেজসচন্দ্র
বাহাদুর
তার
উচ্ছৃঙ্খল
পুত্র
প্রতাপচন্দ্রকে
শিক্ষা
দীক্ষায়
উপযুক্ত
করে
তোলার
জন্য
কমলাকান্তকে
বর্ধমানে
নিয়োগ
দেন।
এরপর
কমলাকান্তের
নির্দেশেই
প্রতাপচন্দ্র
নিজের
সাজা
হিসাবে
অজ্ঞাতবাস
মেনে
নেন।
সাধক কমলাকান্তের বাড়ির পাশে জঙ্গলে থাকা বিশালাক্ষী মন্দিরের সংস্কার করে কমলাকান্ত পুজোর ব্যবস্থা করেছিলেন অল্প বয়সেই। সেখানেই চলত সাধক কমলাকান্তের সাধন–ভজন। সাহসী দুরন্ত কমলাকান্তের বুৎপত্তিতে মুগ্ধ ছিলেন সকলে, অল্প বয়সেই মাতৃমন্ত্রে দীক্ষিত হন তিনি। পরে কেনারাম চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা করেন কমলাকান্ত। এভাবে বাঁকা নদীর পাড়ে শ্মশানে পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসে তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তাঁর ক্ষমতায় অভিভূত হয়েছিলেন বর্ধমানের মহারাজ তেজসচন্দ্র বাহাদুর।
কোটালহাটে মন্দির তৈরি করে দিয়ে কমলাকান্তের নিত্য পুজোর ব্যবস্থা করে দেন মহারাজ। তাই কোটালহাটের কালী তাই পরিচিত কমলাকান্তের কালীবাড়ি হিসাবে। সেই পুজোই এখন শহরের অন্যতম কালীপুজো। বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে থাকা এক পরোহিত জানান, কমলাকান্ত উচ্চমার্গের সাধক ছিলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল তিনি দেহত্যাগ করলে যেন কালী মায়ের পায়ের নিচেই তাঁর দেহ রাখা থাকে। ১৮২০ সালে মৃত্যু হয় কমলাকান্তের।
বাংলায় বাড়ছে করোনাজয়ীর সংখ্যা, তবে মৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগজনক