বর্ধমানের মিরছোবায় প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর বাড়ির পুজো এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা
মাটির তৈরি প্রতিমা নয়, হিন্দু ধর্মে দেবী দুর্গা মাতৃ শক্তির প্রতীক। তিনি পরমা প্রকৃতি ও সৃষ্টির আদি কারণ, শাস্ত্রের এই মূল উপপাদ্য বিষয়টিকে মান্যতা দিয়ে দুর্গোৎসবে জন্মদাত্রী মাকে সর্বশক্তিমান দেবী রূপে পুজো করা বর্ধমানের মিরছোবায় প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর বাড়িতে।

পাশাপাশি গৃহকর্মী এবং অন্য মহিলাদেরও দেবীরূপে পুজো করা হয়। নবমীতে প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর বাড়িতে হয় কুমারী পুজো। অন্তরের ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়েই হয় সমস্ত পুজোপাঠ। কোনও আড়ম্বরতা না থাকলেও জীবন্ত মাতৃশক্তির পুজো দেখতে এলাকার বহু মানুষ প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর বাড়িতে জড়ো হন।
প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর তাঁর বাড়ির নামকরণ রেখেছেন 'পিতৃ-মাতৃ মন্দির। দীর্ঘদিন ধরে সেই মাতৃ মন্দিরেই মহালয়ার দিন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এলাকার ৩০ জন মহিলাকে দেবীরূপে পুজো করা হয়। পুজোর আগে নতুন বস্ত্রে সজ্জিত করা হয় মহিলাদের। তার পর ফল, মিষ্টান্ন, নতুন বস্ত্র দিয়ে তাঁদের বরণ করা হয়।
বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে হয় পুজো। থাকে অন্নভোগেরও আয়োজন। প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারীর বাড়িতে পঞ্চমীর দিন থেকেই এলাকার গৃহকর্মীদের দেবীরূপে পুজোও শুরু হয়ে যায়। দেবীর ঘটপুজোর আগে যেমন দ্বারঘট পুজো করা হয়, তেমনই গৃহকর্মীদেরও এবাড়িতে পুজো করা হয়। নবমীর দিন কুমারী পুজো দেখতে বহু মানুষ এই বািতে ভিড় জমান। আর দশমীর দিন জন্মদাত্রী মাকে দেবীরূপে পুজো করেন প্রজ্ঞানন্দ ব্রহ্মচারী।
প্রজ্ঞানন্দবাবু বলেন, প্রতিমা বিসর্জন হয়, কিন্তু জন্মদাত্রী মায়ের বিসর্জন হয় না। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁকে দেবীরূপে পুজো করেন। তাঁর মতে দেবী পক্ষে এটাই সর্বোৎকৃষ্ট মাতৃ শাক্তির আরাধনা।
পুজোয় মানুষের সুবিধার্থে 'সুরক্ষা' মোবাইল অ্যাপ চালু পুলিশের