বিজেপি না করার 'হুঁশিয়ারি'কে অবজ্ঞা! আগুন ধরানোর চেষ্টায় আতঙ্কে দম্পতি, অভিযুক্ত তৃণমূল
বিজেপি (bjp) সমর্থক হওয়ার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (trinamool congress) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার (kalma) পিণ্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামের। বিষয়টি নিয়ে কালনা থানায় অভিযোগ দ
বিজেপি (bjp) সমর্থক হওয়ার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (trinamool congress) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার (kalma) পিণ্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামের। বিষয়টি নিয়ে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বিষয়টিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের (trinamool congress) তরফ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজয় উৎসবে না যাওয়ায় হামলার অভিযোগ
অভিযোগকারী দম্পতি বলেছেন, ১৭ জুলাই তৃণমূলের বিজয় উৎসব ছিল। সেই উৎসবে তাঁদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেখানে না যাওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ রবিবার বিজেপি কর্মী স্বপন দাস যখন বাড়ি থেকে বেরোতে যান, সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতী তাঁর ওপরে লাঠি-বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। চলে কিল, চড়, ঘুষিও।
স্ত্রীর ওপরেও হামলা
সেই সময় স্বপন দাসের স্ত্রী শিল্পী দাস বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। শাড়ি ও ব্লাউজ ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন স্বপন দাস। আরও অভিযোগ তাঁদেরকে পুড়িয়ে মারার জন্য কেরোসিন আনা হয়েছিল। কিন্তু চেঁচামেচির জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে, দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্পপন দাস বলেছেন, তাঁর স্ত্রী এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। হামলাকারীরা সবাই তৃণমূলের বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বাড়ির পাশে বাজি ফাটিয়ে সন্তানদের পড়ায় অসুবিধা তৈরি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই দল্পতি।
পুলিশি তদন্তের দাবি
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় পুলিশি তদন্তের দাবি করা হয়েছে। অভিযোগকারী স্বপন দাসকে দলের কর্মী বলে বলা হয়েছে, বিজেপি করার জন্যই এই হামলা। গেরুয়া শিবিরের আরও অভিযোগ ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও না হওয়া পুড়িয়ে মারা চেষ্টা।
তৃণমূলের সাফাই
তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই ঘটনায় রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি ব্যক্তিগত ক্ষোভ আর পারিবারিক রেষারেষি থেকেই এই ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক না থাকার দাবি করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। তৃণমূলের তরফে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিক। এক্ষেত্রে দল কোনও রকমের হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানানো হয়েছে।