দুর্গাপুর ব্যারেজের লক গেটে ফাটল, মমতা সরকারেই দায়ী, অভিযোগ বিজেপি সাংসদের
দুর্গাপুর ব্যারেজের লক গেটে ফাটল, মমতা সরকারেই দায়ী, অভিযোগ বিজেপি সাংসদের
লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন সাত সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজে বড় বিপত্তি। ৩১ নম্বর লকগেটে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। হু হু করে বেরিয়ে আসছে জল। দেখতে পেয়েই মৎস্যজীবীরা সতর্ক করেন। এই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তিন বছর আগেই নাকি ফাটল দেখা দিয়েছিল রাজ্য সরকার সেটা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দুর্গাপুর ব্যারেজে লকগেটে ফাটল
দুর্গাপুর ব্যারেেজল ৩১ নম্বর লকগেটে ফাটল। সকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে দেখতে পান ৩১ নম্বর লকগেচের বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দিকে হু হু করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। লক গেটের এটি অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে গিেয়ছে। তার থেকেই এই বিপত্তি। এভাবে জল বেরোতে থাকলে শীঘ্রই জলশূন্য হয়ে যাবে দুর্গাপুর ব্যারাজ। এর আগেও ২০১৭ সালে ১ নম্বর লকগেট ভেঙে সব জল বেরিয়ে গিয়ে জলশূন্য হয়ে পড়েছিল দুর্গাপুর ব্যারাজ।
বন্যার আশঙ্কা
এদিকে লকগেটের ফাটল দিয়ে জল বেরিয়ে যাওয়ায় বর্ধমানের বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন পশ্চিম বর্ধমামের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখে এই ব্যারাজ। সব জল বেরিয়ে গেলে একদিকে যেমন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে অন্যদিকে ব্যারাজ জলশূন্য হলে চাষের ক্ষতি হবে।
দায়ী রাজ্য সরকার
দুর্গাপুর ব্যারাজে লক গেটে ফাটল তৈরি হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি অভিযোগ করেছেন তিন বছর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেটা ছিল ১ নম্বর লকগেট। সেবার জলশূন্য হয়ে গিেয়ছিল গোটা ব্যারাজ। রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণেই এখনও পর্যন্ত ব্যারাজের একাধিক লকগেটের ফাটল মেরামত করা হয়নি। তার মাশুল দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।
দেখা নেই সেচ দফতরের কর্মীদের
লকগেট ভাঙার খবর সেচ দফতরে দেওয়া হলেও একজ আধিকারিকও ঘুরে দেখেননি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। যদিও দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র, বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল ও বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্র শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানীয় জলের সংকট যাতে তৈরি না হয় সেকারণে শহর জুড়ে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।