জিতেন্দ্রকে বিদ্রোহী করেছে কে? আঙুল উঠছে বিজেপি সাংসদের দিকে, কী জবাব দিলেন বাবুল
জিতেন্দ্রকে বিদ্রোহী করেছে কে? আঙুল উঠছে বিজেপি সাংসদের দিকে, কী জবাব দিলেন বাবুল
দুই দলের দুই দাপুটে নেতা। প্রবল প্রতিপক্ষের ভোল বদল খুব একটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছেন না বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্রর কারণেই আসানসোলের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সেই জিতেন্দ্র বিজেপিতে এলে কতটা সহজ হবে বাবুলের পক্ষে মেনে নেওয়া এই নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। শেষে সাংসদ নিজেই সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে এলে কী পরিস্থিতি হবে আসানসোলের বিজেপিতে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র
শুভেন্দুর দল ছাড়ার দিনেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছেন আসানসোলের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আসানসোল দাপিয়ে বেরান তৃণমূল নেতার এই ভোল বদলে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। শুভেন্দুর অনুগামী হয়ে তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মাধ্যম কি বাবুল
জিতেন তিওয়ারির এই ভোল বদলেন নেপথ্যে রয়েছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এমনই জল্পনা শুরু হয়ছে। বাবুলের হস্তক্ষেপেই জিতেন তিওয়ারি সুর বদল করতে শুরু করে দিয়েছেন। সেকারণেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। জিতেন্দ্র পীড়িত বিজেপি কর্মীরা এই নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। কারণ আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র একাধিক কাজে বাধা তৈরি করেছেন জিতেন। বাবুলের অনুগামীরা একাধিকবার জিতেনের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরে হঠাৎ করে জিতেন তিওয়ারিকে এক দলে কতটা মেনে নেবেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
স্পষ্ট করলেন বাবুল
জিতেন তিওয়ারির সুর বদলে তাঁর কোনও হাত নেই। টেবিলের তলায় কোনও চুক্তি হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেছেন আসানসোলের বিজেপি কর্মীদের আশা ভরসা তিনি কোনও দিনই ভাঙবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে রটনা করা হচ্ছে। যে বিজেপি কর্মীরা তাঁর সঙ্গে থেকেছেন তাঁদের সঙ্গে কোনও বিশ্বাসঘাতকতা তিনি করেননি। এবং করবেন না। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
কী করবেন জিতেন্দ্র
তৃণমূল ছাড়ার পর আসানসোলের কতটা দাপটে থাকতে পারবেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সৌগত রায় জিতেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জিতেন্দ্রকে বিধায়ক করেছে। আগে কেউ তাঁকে চিনতেন না। ইতিমধ্যেই পাণ্ডবেশ্বরে জিতেন্দ্রর অফিস দখল নেওয়া হয়েছে। চাপ বাড়ছে তাঁর উপর। এখন শুভেন্দুর শরণে যাওয়া ছাড়া তাঁর কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন।