বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সামনে বঙ্গের কৃষকদের দাঁড় করালো বিজেপি, নাড্ডার কৃষক সুরক্ষা অভিযানে কোন ছক
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সামনে বঙ্গের কৃষকদের দাঁড় করালো বিজেপি, নাড্ডার কৃষক সুরক্ষা অভিযানে কোন ছক
দিল্লিতে কৃষি আইনের প্রতিবাদে অনড় কৃষকদের বাগে আনতে শেষে বাংলার কৃষকদের ময়দানে নামাল বিজেপি। মোদীর হাতিয়ার এখন বাংলার কৃষকরাই। বর্ধমানে শস্য ভান্ডারে জেপি নাড্ডার কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যই যে সেটাই তা স্পষ্ট হয়ে গেল নাড্ডার একাধিক বার্তায়। এই মঞ্চ থেকেই কৃষকদের কৃষক সুরক্ষা অভিযানের সূচণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই মঞ্চেই বিজেপির কৃষক আইনের সমর্থনে প্রচার অভিযান ঘোষণা করেন তিনি।
কৃষক সুরক্ষা অভিযানের সূচনা
কৃষকদের নিয়ে সুপরিকল্পিত পথে এগোচ্ছে বিজেপি। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বাগে আনতে কৃষকদেরই ময়দানে নামানোর সুকৌশল পরিকল্পনা করে ফেলেছেন অমিত শাহরা। নাড্ডার বর্ধমান সফরের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে সেই কৃষকদের ভাবাবেগ। পূর্ব বর্ধমানের শস্য ভান্ডারকেই বেছে নিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। কাটোয়ায় পৌঁছেই তিনি রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেন। আরতি করেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে যান সভা স্থলে। সেখানে চাল, সবজি হাতে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষকরা। মঞ্চে কৃষকদের হাত থেকে সেই চাল, সবজি গ্রহণ করেন নাড্ডা। একই সঙ্গে সূচণা করে কৃষক সুরক্ষা অভিযানের।
কী উদ্দেশ্য এই কর্মসূচির
কাটোয়ার কৃষক সুরক্ষা অভিযানের মাধ্যমে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিল বিজেপি। মোদী সরকারের কৃিষ আইন নিয়ে যে বিক্ষোভ চলছে পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকদের। মোদী সরকা যে কৃষক বিরোধী নন সেই বার্তা দিতেই নাড্ডার এই সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কৃষক সুরক্ষা কর্মসূচির সূচণা করে জেপি নাড্ডা ঘোষণা করেছেন আগামী ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজ্যের বিজেপি নেতারা ৪০ হাজার গ্রামে যাবেন। সেখানে গিয়ে প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে গিয়ে চাল ভিক্ষা নেবেন। এবং বাংলার কৃষকদের কৃষি আইনের সুফল সম্পর্কে সচেতন করবেন।
কৃষকরা বঞ্চনার শিকার বাংলায়
কাটোয়ার সভা থেকে ফের বাংলার কৃষকদের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যের ৭০ হাজার কৃষককে কৃষি নিধি প্রকল্পের সুবিধা না দিয়ে বঞ্চনা করেছেন মমতা সরকার। বাংলার কৃষকরা চূড়ান্ত বঞ্চিত। তাঁরা যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যপান তা খুবই কম। অন্য রাজ্যের কৃষকরা তার থেকে বেশি সহায়ক মূল্য পান এমনই দাবি করেছেন তিনি। মোদী সরকার কৃষকদের সহায়ক মূল্য ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি এর আগে কোনও সরকার সেটা করতে পারেনি। মোদী সরকারের কৃষি ক্ষেত্রে বাজেট ১০৩৮ কোটি টাকা হয়েছে। যা ইউপিএ সরকারের কোনও দিনই ছিল না। বারবার কৃষি আইনের সুফলের কথা বলেছেন জেপি নাড্ডা।
মে মাসের পর বাংলায় সব হ্যাঁ হবে
কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি মমতা সরকার নিজের নাম দিয়ে চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেপি নাড্ডা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি নিধি প্রকল্প চালু করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠির এখন আর প্রয়োজন নেই। মে মােস বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সব হ্যাঁ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।