ফুচকা দিয়ে মন জয়, জনসংযোগে রসনা তৃপ্তিতে নজর অগ্নিমিত্রার, কোন ছকে এগোচ্ছে বিজেপি
ফুচকা দিয়ে মন জয়, জনসংযোগে রসনা তৃপ্তিতে নজর অগ্নিমিত্রার, কোন ছকে এগোচ্ছে বিজেপি
মানুষের মন জয়ের সহজ উপায় রসনা তৃপ্তি সেকথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুরে অভিনব ফুচকা উৎসবের আয়োজন করে বিজেপি। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল নিজে ফুচকা খেয়ে সেই উৎসবের সূচনা করেন। সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছতেই এই ফুচকা উৎসবের আয়োজন বলে দাবি করেছে বিজেপি। এতোদিন চায়ে পে চর্চাতেই সীমাবদ্ধ ছিল আমজনতার সঙ্গে জনসংযোগ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ফুচকা উৎসব করে নতুন মন জয়ের পন্থা বেছে নিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
বিজেপির ফুচকা উৎসব
রসনা তৃপ্তিতেই অর্ধেক মন জয় করা যায়। একথা নতুন নয়। সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই এবার দুর্গাপুরে ফুচকা উৎসবের আয়োজন করেছিল বিজেপি। দুর্গাপুরের বীরভানপুরের দামোদর বিসর্জন ঘাটে ফুচকা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উৎসবের সূচনা করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। রসনা তৃপ্তির মাধ্যমে মানুষের মনের কাছে পৌঁছে যাওয়াই মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলকে আক্রমণ
তৃণমূল কংগ্রেসকে টাইটেনিকের সঙ্গে তুলনা করেছেন অগ্নিমিত্রা। এই ডুবন্ত জাহাজ থেকে বাংলার মানুষকে উদ্ধার করার লক্ষ্যেই জনসংযোগে জোর দিয়েছে বিজেপি। সেকারণেই চায় পে চর্চার পর এবার ফুচকা উৎসবের আয়োজন। প্রতিদিন সকালেই চায় পে চর্চা অনুষ্ঠান করে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার ফুচকা উৎসবের আয়োজন করে সেই সংযোগে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
তৃণমূলের কটাক্ষ
বিজেপির ফুটকা উৎসব নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ফুচকা খাইয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করে লাভ হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে থাকে ৩৬৫ দিন। তাই মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন। ফুচকা খাইয়ে কোনও লাভ হবে না।
অনুব্রতর হুঙ্কার
বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিকে হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন এবার গোটা রাজ্য জুড়েই অন্য খেলা হবে। জলপাইগুড়ি থেকে মেদিনীপুর রাজ্যের সর্বত্র এবার একুশের ভোটের অন্য খেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একুশের ভোটে এবার চকোলেট-বিস্কুট জলের দাওয়াই দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।