
অনুব্রত মণ্ডলের জামিন অধরাই রয়ে গেল, প্রভাবশালী তত্ত্বেই সিলমোহর আদালতের
খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। প্রভাবশালী তত্ত্বেই সিলমোহর পড়ল। শনিবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। যথারীতি জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা। কিন্তু আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

শনিবার অনুব্রত মণ্ডলকে সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ৩৭ দিন পর পুনরায় অনুব্রতকে এদিন সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে সিবিআই আদালতে নিয়ে আসার আগে নিরাপত্তায় মিড়ে ফেলা হয় আদালত চত্বর। সংশোধনাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগারে পেশ করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে শেষবার আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে শারদীয়া এবং দীপাবলীর ছুটির কারণে সিবিআই কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁকে পুনরায় পেশ করা যায়নি। যদিও এর মাঝে সিবিআই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। শনিবার পুনরায় আসানসোল সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করার পর তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
সিবিআইের আইনজাবীরা যথারীতি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে। সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্বে। শেষপর্যন্ত প্রভাবশালী তত্ত্বকে মান্যতা দেন বিচারক। তিনি ১১ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আরও ১৪ দিন অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। ফলে ৩৭ দিন জেল থেকে বেরিয়েও জামিন মিলল না অনুব্রতের। ঠাঁই হল সেই আসানসোলের জেলে।
আসানসোলের সিবিআই আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দলবদল না করলে কি মিলবে না জামিন। আদালতের সিদ্ধান্তকেও খোঁচা দেন আইনজীবীরা। অনুব্রতর জেল হেফাজত প্রসঙ্গে ফের উঠে আসে বিজেপির ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। বিজেপির ষড়যন্ত্রেই জামিন মিলছে না বলে প্রকারান্তরেক অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নিশাবনা করে তদন্ত চলছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মোবাইল থেকে এনামুলের মোবাইলে ফোন গিয়েছিল। কিন্তু অনুব্রত মোবাইল দিয়ে ফোন হয়নি। এমন ভয়েস স্যাম্পেলও নেই। কোনও গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্তর যোগাযোগ প্রমাণ হয়নি। তারপরও জামিন মিলল না।
এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, কেন ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দেওয়া হল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামিন আটকানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগও খাটে না। দীর্ঘদিন হেফাজতে রয়েছেন, তারপর জেলেও কেটেছে দীর্ঘদিন সেখানেও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ছিল। কোনও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত শে, করা হচ্ছে না। একাধিক শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তাণকে জামিন না দেওয়া চূড়ান্ত অমানবিক। ৭৯ দিন চিকিৎসা পরিষেবা তেমনভাবে পাননি বলে অভিযোগ।