মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে উড়োজাহাজ, জরুরি অবতরণ বাংলার এক বিমানবন্দরে
মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে পড়ল বিমান। ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে উড়োজাহাজের কেবিন লাগেজ মাঝ আকাশে পড়ে যায়। এর ফলে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হয়। শেষে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর (অন্ডাল বিমানবন্দর)-এ বিমানটিকে
মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে পড়ল বিমান। ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে উড়োজাহাজের কেবিন লাগেজ মাঝ আকাশে পড়ে যায়। এর ফলে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হয়। শেষে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর (অন্ডাল বিমানবন্দর)-এ বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়।
দুর্গাপুরের অন্ডালে বিমানটি ল্যান্ড করে। ওই বিমানে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে বিমানটি ঝড়ের কবলে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দশজন যাত্রী আহত হলেও তারা আশঙ্কামুক্ত।
চরম খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্লেনটি নিজেই মাঝ আকাশে এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়েছিল। তখন জরুরি ভিত্তিতে ফ্লাইটটি অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। সেই অবতরণের সময় কেবিন লাগেজ খুলে যাত্রীদের উপরে পড়ে যায়। সেই কারণেই কয়েকজন জখম হয়েছেন। ফ্লাইটটি বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায়।
মাঝ আকাশে যাত্রীবোঝাই বিমানটি ঝড়ের কবলে পড়লে প্রবল ঝাঁকুনি হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। কয়েকজন জখমও হন। মুম্বই থেকে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। ঝড়ের কারণে অণ্ডালের এয়ারেটোরপসিলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। বিমানটি কীভাবে ঝড়ের কবলে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে শনিবারও কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের আগে একটি বিমান ঝড়ের কবলে পড়ে। বিমানটি জোর টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে। এর ফলে এক ঘণ্টা দেরিতে বিমানটি নামে বিমানবন্দরে। বিমানের ভিতরে আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন যাত্রীরা। যাত্রীরা জানান পাইলটের অভিজ্ঞতার কারণেই তাঁরা এ যাত্রায় রক্ষা পান।
শনিবার কলকাতা ও কলকাতা শহরতলিতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। যখন কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বিমানটি, তখনই ঝড়ের কবলে পড়ে। যাত্রীরা জানান বিমানটি তখন যেন উঠছে আর নামছে। কলকাতা আসার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে তিনটি বিমানের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতার বদলে অন্য বিমান বন্দরে ল্যান্ড করে বিমানটি।
শনিবারের মতো রবিবারও সন্ধ্যার পর বৃষ্টি নামে। এদিনও বৃষ্টির সঙ্গী ছিল ঝড়। সেই কারণে মুম্বই থেকে আসা স্পাইস জেটের বিমানটি বাধ্য হয় অণ্ডালে নামতে। এদিনও ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে মাঝ আকাশে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন যাত্রীরা। অনেকে আবার আহতও হন। যদিও শনিবার কোনও হতাহতের খবর ছিল না।