রাষ্ট্রদ্রোহ নয়, সিএএ বিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার! অখিল গগৈয়ের জামিনে বার্তা আদালতের
২০১৯
সালের
ডিসেম্বর
মাস
থেকেই
ছিলেন
জেলে।
বর্তমানে
শারীরিক
অসুস্থতার
জন্য
গুয়াহাটি
মেডিক্যাল
কলেজ
হাসপাতালে
তাঁর
চিকিৎসা
চলছে।
কিন্তু
জেলে
থাকলেও
তিনি
এইবারের
নির্বাচনে
অসমের
শিবসাগর
কেন্দ্র
থেকে
বিধানসভা
নির্বাচনে
লড়াই
করেন।
কোন
প্রচার
ছাড়াই
ধারাশায়ী
করেন
বিরোধী
শিবিরকে।
কথা
হচ্ছে
অসমের
কৃষক
নেতা
অখিল
গগৈকে
নিয়ে।
এবার সেই শিবসাগর এলাকার বিধায়ক তথা রাইজর দলের সভাপতি অখিল গগৈই জামিনে মুক্তি পেলেন।এদিকে তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতা, একটি ধর্মীয় সংগঠন, জাতি এবং ভাষাকে উস্কানি নিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে কথা বলা এমনকী উগ্রপন্থীদের ঘুরিয়ে সাহায্য করার মতো ঘোরতর অভিযোগও রয়েছে।
বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে চলা মূল দুটি মামলার মধ্যে একটি থেকে অব্যহতি পেলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেথ্য ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে, অসমে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলার সময় অখিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় মামলা করে পুলিশ। চাবুয়া থানাতে আন্দোলন করা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
বর্তমানে এই মামলা থেকেই সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। তবে, চাঁদমারি থানায় আরও একটি অভিযোগ আছে,সেটির শুনানি চলবে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও এদিন অখিলের জামিন দিতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় এনআইএ আদালতকে। বিচারকরা স্পষ্ট ভাষায় জানান, “চবুয়ায় নাগরিত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী সমাবেশে অখিল গগৈয়ের ভাষণটি তারঁ রাজনৈতিক মতামতকেই সামনে আনে, তবে এটি কোনোভাবেই বেআইনী কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে কোনও অপরাধ হতে পারে না।” অথচ তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ এনেছিল এনআইএ-ই।