ভোটের আগে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে মমতার 'নির্দেশ'! তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত দাপুটে নেতা
ভোট বড় বালাই। বিজেপির (bjp) সঙ্গে রয়েছে ভাবমূর্তির চিন্তাও। যার জেরে ২০২১-এর ভোটের আগে বেশ কড়া তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। দল থেকে বহিষ্কার করা হল আইএনটিটিইউসির দাপুটে নেতা প্রসেনজিত রায়কে (Prasenjit Roy)।
ভোট বড় বালাই। বিজেপির (bjp) সঙ্গে রয়েছে ভাবমূর্তির চিন্তাও। যার জেরে ২০২১-এর ভোটের আগে বেশ কড়া তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। দল থেকে বহিষ্কার করা হল আইএনটিটিইউসির (inttuc) দাপুটে নেতা প্রসেনজিত রায়কে (Prasenjit Roy)। শিলিগুড়িতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই সিদগ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রুট নিয়ে আপত্তি পুলিশের! মুর্শিদাবাদে পরিবর্তন যাত্রায় 'বাধা' পুলিশের
হামলায় অভিযুক্ত নেতা
সম্প্রতি হামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায়। ৪ ফেব্রুয়ারি দলবল নিয়ে এনজিপির কাছে স্থলবন্দরে বেপরোয়া হামলা চালান বলে অভিযোগ। লরি বোঝাই শ্রমিক নিয়ে গিয়ে গেট ভেঙে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়। যা নিয়ে ঘরে ও বাইরে যথেষ্টই চাপে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি স্থলবন্দরের ডিরেক্টর সঞ্জয় মারোয়াড় অভিযোগ করেছিলেন, ওই নেতা তোলা হিসেবে প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা করে দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না পাওয়ায় এই বিক্ষোভ।
হামলায় গ্রেফতার ১৩
অন্যদিকে যেদিন ওই ঘটনা ঘটে সেদিন শিলিগুড়িতেই উপস্থিতি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এই ঘটনায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরেই প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। পুলিশ প্রসেনজিত রায় ঘনিষ্ঠ ১৩ জন শ্রমিক, নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে। এখনও পুলিশ প্রসেনজিৎ রায় এবং তাঁর ঘনিষ্ট কয়েকজনকে খুঁজে পায়নি বলে দাবি। ফলে পরের নিশানা যে আইএনটিটিইউসি নেতা, তা ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই।
দল থেকে বহিষ্কার দাপুটে নেতা
রবিবার প্রসেনজিৎ রায়কে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, দল কোনওভাবেই হিংসাত্মক কাজ পছন্দ করে না। ফলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। দলের সঙ্গে প্রসেনজিত রায়ের আর কোনও সম্পর্ক নেই। দলের দাপুটে নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও এলাকায় ওই নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। গৌতম দেব জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই এই বহিষ্কার।
সামাল দিতে আলাদা কমিটি
অন্যদিকে দলের দাপুটে নেতা প্রসেনজিৎ রায়কে বহিষ্কারের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ওই কমিটিই এনজেপি এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের কাজ দেখাশোনা করবে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রসেনজিৎ রায় এবং তাঁর অনুগামীরা কোন পথে পা বাড়ান সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।