মমতা-শুভেন্দুর বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে রাজি নন প্রভাবশালী কংগ্রেস বিধায়ক! জল্পনা তুঙ্গে
মমতা-শুভেন্দুর লড়াইয়ের বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে রাজি নন প্রভাবশালী কংগ্রেস বিধায়ক! জল্পনা তুঙ্গে
কর্মজীবনে ছিলেন, সরকারি আধিকারিক। বামশাসনে বিভিন্ন দফতরে কাজ করেছিলেন। এর বাম শাসনের শেষের বছরে তিনি রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামেন সুখবিলাস বর্মা (sukhbilas barma)। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) আসনে কংগ্রেসের (congress) টিকিটে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয়ী হন। পরে ২০১৬-র নির্বাচনেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তিনি আর লড়াই করতে চান না। যে কথা তিনি জেলা কংগ্রসকে জানিয়েও দিয়েছেন।
ভোটে লড়তে চান না জলপাইগুড়ির ২ বারের সাংসদ
২০২১-এর বিধানসভার লড়াইয়ে নামতে চান না জলপাইগুড়ির দুবারের কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন আমলা সুখবিলাস বর্মা। একথা তিনি যেমন জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের একাংশকে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। আর এবার কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে ফিরে তিনি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্তকে জানাবেন বলে স্থির করেছেন।
দল বারণ করলেও শুনবেন না
সংবাদ মাধ্যমকে সুখবিলাস বর্মা জানিয়েছেন, দল বারণ করলেও তিনি এবার আর শুনবেন না। দলকে জানিয়ে দেবেন, লোক খুঁজে নেওয়ার জন্য। তবে তিনি অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি বলেছেন, বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৭ বছর। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বছরখানেক নিজের কেন্দ্রে অনুপস্থিত
বছরখানের ধরে সুখবিলাস বর্মা জলপাইগুড়িতে অনুপস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সারা দেশে লকডাউন শুরু হয়েছিল। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে তিনি শেষবার জলপাইগুড়িতে গিয়েছিলেন। এবার যাচ্ছেন দলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতার মেয়ের বিয়েতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘদিন জলপাইগুড়িতে না থাকায় নিজের দল কংগ্রেসের পাশাপাশি সঙ্গী বামেদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এনিয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভও জানিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে জলপাইগুড়ির বিধায়ক বলেছেন, তাঁর কোনও অভিমান নেই। ভোটে না দাঁড়ানোর ইচ্ছা নিয়ে শারীরিক সমস্যার কথা তুলেছেন তিনি। তাছাড়াও তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে গিয়ে লেখালেখি থেকে পড়াশোনা কিছুর জন্য সময় পাননি দীর্ঘ দিন। সুখবিলাস বর্মা বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হলেই এলাকার মানুষের প্রত্যাশা থাকবেই।
আসনের দাবিদার ফরওয়ার্ড ব্লক
দীর্ঘদিন
জেলায়
দলের
কর্মসূচিতে
যোগ
না
দিতে
পারার
কথা
স্বীকার
করে
নিয়েছেন
সুখবিলাস
বর্মা।
তবে
তার
জন্য
এলাকার
উন্নয়ন
তহবিলের
টাকা
খরচ
আটকায়নি।
পাশাপাশি
এলাকায়
জন্য
রাজ্যসভার
সাংসদদের
কাছ
থেকে
অতিরিক্ত
বরাদ্দ
বের
করে
আনার
কথাও
জানিয়েছেন
তিনি।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য
একটা
সময়ে
জলপাইগুড়ি
সদর
আসনটি
ফরওয়ার্ড
ব্লকের
দখলে
ছিল।
এবারের
নির্বাচনে
তাঁরা
সেই
আসনটি
দাবি
করে
রেখেছে।
তবে
তা
নিয়ে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
কিছু
হয়নি
বলেই
জানা
গিয়েছে।
বাংলার 'জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি যেন শুনতে পায় দিল্লি, মমতাকে নিশানায় 'আওয়াজ’ স্মৃতির