'গোষ্ঠীসংঘর্ষে' চলল গুলি! মৃত্যু তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতা ও এক কর্মীর
'গোষ্ঠীসংঘর্ষে' চলল গুলি! মৃত্যু দুই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চলল গুলি। যার জেরে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জিত সরকার। এদিন সকালে কালিপদ সরকার নামে গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকারের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূলের একটি অংশ এই ঘটনার সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে।
সকালে মৃত্যু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির
ব্যাপক উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। এদিন সকালে মৃত্যু হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকারের। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে কালিপদ সরকারের মৃত্যু হয়েছে হৃদযন্ত্রের গোলযোগে। তাঁর উচ্চরক্তচাপ এবং হাইপ্রেশার ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এই মৃত্যুর কারণ মারধর না অন্য কিছু তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
গুলিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মী সঞ্জিত সরকারের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরে জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। সেই সময় কালিপদ সরকারের লোকজন গুলি চালায় সঞ্জিত সরকারকে লক্ষ্য করে। মাথার গুলি লাগে তাঁর। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যেতে যেতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত গঙ্গারামপুর
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাম আমল থেকেই উত্তপ্ত গঙ্গারামপুর। তৃণমূল শাসনে এলেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এদিন সকালে জমি নিয়ে চলা বিবাদে মারধরের পাশাপাশি গুলি চলে। সেই সময় কালিপদ সরকার আহত হন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। এর পাশাপাশি গুলি লাগে সঞ্জিত সরকারের মাথায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জেলার রাজনীতিতে কালিপদ সরকার বিপ্লব মিত্রের অনুগামী বলেই পরিচিত।
এই ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় কমব্যাট ফোর্স। গঙ্গারামপুর থানার পাশাপাশি জেলা পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দীর্ঘদিন এলাকায় এই ঘটনা ছিল না বলেও দাবি করে দলগতভাবে তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে জেলায় দলেরই অপর অংশ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে। জেলার বিরোধী নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। গতমাসেই এলাকায় টিইউসিআই এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির মধ্যে সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টিইউসিআই কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।