বছরশেষে খুশির হাওয়া পাহাড়ে, চালু টয়ট্রেয় পরিষেবা
টানা ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে টয়ট্রেন পরিষেবা। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে পাহাড়। বাড়ছে ভিন রাজ্যের পর্যটকদের সংখ্যা। নিউ নর্মালে চেনা পাহাড় ফিরছে স্বমহিমায়।

তবে আপাতত তিনটে জয়রাইড দিয়ে পরিষেবা চালু হয়েছে। তার মধ্যে দুটি আবার স্টিম ইঞ্জিনে! সবুজ পাহাড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে কু ঝিক ঝিক আওয়াজ! সেই চেনা আওয়াজে আবারও ঘুম ভাঙছে পাহাড়বাসীর।
বছরের শেষ দিনে দার্জিলিং থেকে আঁকাবাকা পথ বেয়ে বাতাসিয়া লুপ হয়ে ঘুম পর্যন্ত ছুটছে খেলনা গাড়ি। বছর শেষের আনন্দ লুফে নিতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই টয়ট্রেনে! গিজগিজ ভিড়। কোথায় কোভিড বিধি! পাহাড় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে বরাবরই প্রিয় টাইগার হিলে সূর্যদয় আর জয় রাইড। সেখানে করোনা এবং লকডাউনের জেরে মার্চের ২৪ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল টয়ট্রেন পরিষেবা। বড়দিনকে সামনে রেখে রাজ্য পরিবহন দফতর অনুমোদন দিতেই চালু হয়ে যায় জয় রাইড। পর্যটকদের কাছে যা বাড়তি পাওনা বটে। এ জন্যেই তো পাহাড় ডাকে! তাই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ ভ্রমন পিপাসুরা।
আর বাঙালি পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেন সাফারি নস্টালজিয়া! তাই ঘুরতে এসে টয়ট্রেনে দার্জিলিং থেকে ঘুম বেড়িয়ে খুশির হাওয়া পর্যটকদের কাছে। খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতরাও। তাদের মুখেও আজ হাসি ফুটেছে। নতুন ইংরেজী নববর্ষকে বরণ করে নিতে ভাল সংখ্যায় পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছে ক্যুইন অব হিলে! উপচে পড়া ভিড় জয় রাইডে! টিকিট মেলাই কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টিকিট কাউন্টারে পর্যটকদের লম্বা লাইন। একবার জয় রাইডে যে চাপতেই হবে! বাতাসিয়া লুপে সেল্ফি তোলার হিড়িক। আবার ঘুম স্টেশনের মিউজিয়াম মিস করা যাবে না। তাই এখন পর্যটকঠাসা শৈলশহর এখন অনেকটাই ফিরছে চেনা ছন্দে। নতুন বছরে এনজেপি থেকে দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি জংশন থেকে তিনধরিয়া স্টেশন পর্যন্ত জঙ্গল সাফারিও চালু হবে বলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে।

বর্ষশেষে মশাল মিছিল তৃণমূলের, শুভেন্দুকে 'বেইমান' বলে আগুন ছুঁয়ে শপথ মদনের