তারস্বরে ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন, ব্যাপক উত্তেজনা
বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতাকে। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মালদহের মোথাবাড়ি এলাকাতে। নিহত ওই তৃণমূল নেতার নাম আফজল মোমিন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতাকে। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মালদহের মোথাবাড়ি এলাকাতে। নিহত ওই তৃণমূল নেতার নাম আফজল মোমিন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বড় অশান্তি এড়াতে এলাকাতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে ঘটনায় যুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।
স্থানীয় ছেলেরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার স্থানীয় একটি ক্লাবে পিকনিক ছিল। সেই মতো একাধিক স্থানীয় ছেলে জড়ো হয়। পিকনিক হলেও তারস্বরে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। কার্যত এত জোরে গান বাজছিল যে কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়ার জোগাড়। আর এরপরেই রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আফজল মোমিন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। যেন ডিজে বাজানো না হয় সেজন্যে আবেদন করেছিলেন। আর এরপরেই তাঁর উপর স্থানীয় ছেলেরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
আশঙ্কাজনক অবস্থা ছিল
একেবারে বাঁশ হাতে আফজলের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মারধরের জেরে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। এরপর স্থানীয়রা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা দ্রুত এলাকা ছাড়ে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি আফজলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে চিকিৎসকেরা ঘোষণা করেন। আর এরপরেই খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে মালদহের মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। আর সেই মামলার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আফজলের মৃত্যু একেবারে রাজ্য-রাজনিতিতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। তবে ঘটনায় গোটা শরীরে আঘাত লাগে। কার্যত আশঙ্কাজনক অবস্থা ছিল
নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। যদিও পরিবারের দাবি, স্থানীয় পাঠানপাড়ার এলাকার ছেলেরাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে ঘটনার পর থেকে কারোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ঘটনার পরেই এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় পুলিশের তরফে। তবে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তাদের প্রত্যেককে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে অন্যায় করে কেউ ছাড় পায় না। এমন অনেক উদাহারণ আছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুত অভিযুক্ত ধরা পড়বে বলেও দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার।