বিজেপির সংগঠনে তৃণমূল নেতা মুকুলের নাম, রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূল (Trinamool Congress) অভিমুখে নেতাদের দলবদল দেখেছে রাজ্যবাসী। তাতে বিশেষ অবাক হয়নি রাজ্যবাসী। কেননা ভোটের আগে এই অভিমুখ ছিল বিপরীত মুখী। রাজীব বন্দ্যোপাধ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূল (Trinamool Congress) অভিমুখে নেতাদের দলবদল দেখেছে রাজ্যবাসী। তাতে বিশেষ অবাক হয়নি রাজ্যবাসী। কেননা ভোটের আগে এই অভিমুখ ছিল বিপরীত মুখী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফেরার পরও দীর্ঘদিন সেই নাম ছিল বিজেপির সংগঠনে। আর এবার বিজেপির কৃষক সংগঠনের মণ্ডল সভাপতিদের তালিকায়, তৃণমুলের নেতা মুকুলের নাম (name)। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের রাজনীতিতে।
বিজেপির কিষাণ মোর্চার মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা
সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারতীয় জনতা কিষান মোর্চার মন্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষিত হয়।জেলার মোট ১৮ টি জেলা পরিষদ মন্ডল ও তিনটি শহর মন্ডলের মধ্যে, ১৭ টি জেলাপরিষদ ও একটি শহর মণ্ডলের সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষনা করা হয়েছে। তালিকায়বালুরঘাট শহর মন্ডল কমিটির সভাপতি হিসেবে মুকুল মহন্তের নাম ও ফোন নাম্বার রাখা হয়েছে। যদিও মুকুল মহন্তের পদবী 'দত্ত' করা হয়েছে, তবে ফোন নম্বর ঠিক রয়েছে।
কোনও দিন বিজেপি করেননি
যাঁর নাম নিয়ে বিতর্ক, সেই মুকুল মহান্ত জানান, তিনি কোনওদিনই বিজেপি করিনি। অথচ তাঁর নাম বিজেপির সংগঠনের তালিকায় কেন থাকল তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। দলের কাছে তাঁকে বিপদে ফেলতেই এমন কাণ্ড করা হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মুকুল মহান্ত।
মুকুল মহান্তর অন্য পরিচিতি
মুকুল মহান্ত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বালুরঘাট ডিপোর কর্মী। তিনি সেখানে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি করেন। এমন একজন তৃণমূল কর্মীকে বিজেপির শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের তালিকায় রাখাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমন খবর জেনে নিজেও অবাক বলে দাবি করেছেন মুকুল মহান্ত।
বিজেপির পাল্টা দাবি
বিজেপির
জেলা
সভাপতি
স্বরূপ
চৌধুরী
দাবি
করেছেন,
মুকুল
মহান্ত
বিজেপির
সঙ্গে
যুক্ত
ছিলেন,
তার
প্রমাণ
রয়েছে।
তিনি
বলেন,
তৃণমূল
কংগ্রেস
বিভিন্ন
ভাবে
বিজেপি
কর্মীদের
ওপর
চাপ
সৃষ্টি
করছে।
চাপে
পড়েই
তিনি
হয়তো
বিষয়টি
অস্বীকার
করেছেন।
অবশ্য
তিনি
যদি
ওই
পদে
থাকতে
না
চান,
পরবর্তীতে
ওই
পদে
অন্য
নাম
বিবেচনা
করা
হবে।
এব্যাপারে
তৃণমূল
জেলা
কোঅর্ডিনেটর
সুভাষ
চাকি
বলেছেন,
কোনও
চাপ
সৃষ্টির
বিষয়
নেই,
মুকুল
মহান্ত
তৃনমূলের
সঙ্গে
যুক্ত।
তিনি
তৃণমূল
শ্রমিক
সংগঠন
আইএনটিটিইউসি
এর
সক্রিয়
কর্মী।
বিজেপি
দল
ভাঙ্গানোর
খেলায়
নেমেছে
বলেওঅভিযোগ
করেছেন
তিনি।
প্রায় আড়াই বছর বিজেপির সঙ্গে ঘর করা মুকুল রায় ২০২১-এর ভোটের পরে ফিরেছিলেন তৃণমূলে। সম্প্রতি তিনি পিএসির চেয়ারম্যানের পদে ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি কোনভাবেই মুকুল নাম ভুলতে পারছে না।