পাহাড়ে খাতা খুলল তৃণমূল, জিটিএ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য জয় প্রাক্তন গুরুং-সঙ্গী বিনয় তামাংয়ের
পাহাড়ে খাতা খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। জিটিএ নির্বাচনে বিনয় তামাং তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়যুক্ত হলেন। ডালি থেকে জিটিএ নির্বাচনে জিতলেন তিনি। সেইসঙ্গে তৃণমূলের হয়ে জয়যাত্রা শুরু হল পাহাড়ে।
পাহাড়ে খাতা খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। জিটিএ নির্বাচনে বিনয় তামাং তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়যুক্ত হলেন। ডালি থেকে জিটিএ নির্বাচনে জিতলেন তিনি। সেইসঙ্গে তৃণমূলের হয়ে জয়যাত্রা শুরু হল পাহাড়ে। এর আগে মিরিক পুরসভায় জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু জিটিএ নির্বাচনে তাঁরা জয় পায়নি। এবার ১০টি আসনে লড়ে ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ে একটি আসন তারা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। কালিম্পংয়েও একটি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। জয়ী হয়েছেন সুমন গুরুং।
উল্লেখযোগ্যভাবে জয়ী হলেন তৃণমূলের বিনয় তামাং
২০১২ সালে জিটিএ গঠন হওয়ার পর থেকে গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হাতেই ছিল জিটিএ-র কর্তৃত্ব। ১০ বছর পর আবার জিটিএ নির্বাচন হল। এবার জিটিএ-র দখল কার হাতে যায় তা নিয়ে টানটান উত্তেজনা গণনার শুরু থেকেই। ৪৫টি আসনের নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার ২৩। কোন পার্টি তা ছুঁতে পারে, তা নিয়ে চর্চার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে জয়ী হলেন তৃণমূলের বিনয় তামাং।
৪৫টির মধ্যে ১০টি আসনে লড়াই করছে তৃণমূল
বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে বিনয় তামাং একুশের নির্বাচনের পরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। আর গুরুংয়ের আর এক সঙ্গী অনীত থাপা গড়েছিলেন নতুন দল। এবার অনীতের নতুন দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে মূল লড়াউ হওয়ার কথা পাহাড়ে হঠাৎ উত্থান হওয়া অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির। তৃণমূল এবার ৪৫টির মধ্যে ১০টি আসনে লড়াই করছে।
ত্রিশঙ্কু হলে জিটিএ পরিচালন বোর্ডে ‘এন্ট্রি' তৃণমূলের!
জিটিএ নির্বাচনে এর আগে তৃণমূল অংশগ্রহণ করেনি। এবারই প্রথম তাঁরা জিটিএ নির্বাচনে লড়ছে। বিনয় তামাংয়ের হাত ধরে এই নির্বাচনে খাতা খুলে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখার আর কোনও আসনে তৃণমূল জিততে পারে কি না। বিনয় তামাং জিতলেও তৃণমূলের পক্ষে জিটিএ দখল করা সম্ভব নয়। কারণ তাঁরা মাত্র ১০টি আসনে লড়ছে। তবে ত্রিশঙ্কু হলে বাংলার শাসক দল তৃণমূল জিটিএ পরিচালন বোর্ডে থাকে কি না, সেদিকেও তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচনে হামরো বনাম বিজিপিএম
পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচনে এবার হামরো পার্টি লড়ছে ৪৫টি আসনেই। আর ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা লড়ছে ৩৬টি আসনে। এবার নির্বাচনের বিরোধিতা করে ভোটদানে বিরত থাকেন বিমল গুরুং। নিজের দলের কোনও প্রতীক নেই। তাঁর দল থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি আসনে নির্দল প্রার্থীর জয়ের খবরও পাওয়া গিয়েছে।
নিজের রাজপাট রাখতে গুরুং কি খেলা খেলেন পাহাড়ে
পাহাড়ের মুকুটহীন সম্রাট বিমল গুরুং। জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিংয়ের পতনের পর তাঁর হাতেই ছিল পাহাড়ের রাজপাট। তিনি নিজেকে পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রীও ভেবে এসেছেন। তবে সেই রামও নেই, সেই রাজত্বও নেই। কালের নিয়মে বিমল গুরুংয়ের মুঠোও আলগা হয়েছে। এখান দেখরা মেঘের আড়ালে থেকে গুরুং কি খেলা খেলেন পাহাড়ে নিজের রাজপাট রাখতে। নাকি নতুন নেতৃত্বকে বরণ করে নেয় পাহাড়।
অজয় এডওয়ার্ড না অনীত থাপা- শেষ হাসি কার
এবার পাহাড়ে ২১০ জন নির্দল প্রার্থী লড়ছে। তা সমীকরণ ঘেঁটে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। এবারের জিটিএ নির্বাচনে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ না থাকলেও রয়েছেন ২১০ জন নির্দল প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেও গুরুংরা আছেন জিটিএ নির্বাচনে। এই অবস্থায় অজয় এডওয়ার্ড না অনীত থাপা- কে শেষ হাসি হাসেন, তা-ই দেখার।
'পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাজ না হলে ললিপপ জুটবে', দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার