বেনজির বিদ্রোহ তৃণমূলে! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গণইস্তফার হিড়িক কোচবিহারে
বেনজির বিদ্রোহ তৃণমূলে! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গণইস্তফার হিড়িক কোচবিহারে
পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তার আগে বেনজির বিদ্রোহ কোচবিহার তৃণমূলে। প্রায় ২০ জন তৃণমূল নেতা দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূল নেতাদের ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতিসহ বহু নেতা গণইস্তফা দেন।
তৃণমূলে নজিরবিহীন গণইস্তফা
কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বিধানসভার নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল থেকে নজিরবিহীন গণইস্তফার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নাকাটিগাছ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীবকুমার দাস বলেন, দলের মধ্যে যেভাবে ভেদাভেদ চলছে, নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হচ্ছে, তাতে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই দলের পদ থেকে ইস্থফা দিচ্ছি আমরা।
তৃণমূলের কোন্দল আরও বাড়বে!
নাকাটিগাছ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীবকুমার দাসের পাশাপাশি দুজন বুথ সভাপতি-সহ বেশ কিছু নেতা-নেত্রী এদিন পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। তাই এই গণইস্তফা বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতটা এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোন্দলেই শেষ হবে তৃণমূল!
যদিও এই বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। সাময়িক মতানৈক্য হয়েছে। কেউ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বে না। আসন্ন নির্বাচনের সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীকোন্দল ও তার জেরে গণ ইস্তফার ঘটনায় বিজেপির প্রতিক্রিয়া, কোন্দলেই শেষ হবে তৃণমূল, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
তৃণমূল নড়বড়ে অবস্থানে
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথায় জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এমন কোনও খবর আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের এই নড়বড়ে অবস্থানে বেজায় খুশি বিজেপি। দলের নতুন অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিদের গণইস্তফার আঁচ দিনহাটা ও মাথাভাঙায় ভালো মতোই পড়বে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।
...এবারও ভরাডুবি নিশ্চিত
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসে একের পর এক ঘটনায় কোন্দল বেড়ে চলেছে। এখন এই বিক্ষোভ সামলানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের কাছে। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তা যদি সামলাতে না পারে তৃণমূল, তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মতো ভরাডুবি নিশ্চিত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই যে নির্দল প্রার্থী হয়ে বিজেপির জয় সহজ করে দেবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে যতই অসন্তোষ সামনে আসছে, ততই বিজেপির সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল বনাম আমরা সবাই, পঞ্চায়েতের আগে কাদের বার্তা দিলেন বিজেপি সাংসদ