গাজোলে ধুন্ধুমার, প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, তুলকালাম সভাস্থলে পুলিশ
এবার মালদহে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব। গাজোলে প্রকাশ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গাজোল ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি রাজ কুমার সরকার সঙ্গে তৃণমূল আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ফারুক হোসেনের প্রকাশ্যে সংঘাত। দুই নেতার হাতাহাতির জেরে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তুমুল সংঘাত শুরু হয় দুই গোষ্ঠির মধ্যে। গাজোল পঞ্চায়েতের অফিস চত্ত্বরেই হাতাহাতি শুরু হয় হাতাহাতি।

একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে তত প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। একের পর এক নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। শুভেন্দুর পর দল থেকে অবসর নিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লাও। হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলেরই বেশ কয়েকজন নেতা। তারপরেই গাজোলে এই ঘটা অস্বস্তি বেড়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গাজোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপি যোগ দিয়েছেন মালদহের এক বিধায়ক। দলে আরও ভাঙন শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দুও তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারপরেই প্রকাশ্যে মালদহের গাজোলে দুই নেতার এই সংঘাত নতুন করে উত্তাপ বেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। চাপ বেড়েছে শাসক দলের অন্দরেও। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃণমূলের ৭০ শতাংশ খালি হয়ে যাবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল। সেই দিকেই কী এগোচ্ছে পরিস্থিতি এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।