তৃণমূলে শুরু আদি-নব্য দ্বন্দ্ব! ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে অন্তর্কলহ জেলায় জেলায়
২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক দলের গৃহযুদ্ধ সামনে এনে দিয়েছেন মঙ্গলবার।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক দলের গৃহযুদ্ধ সামনে এনে দিয়েছেন মঙ্গলবার। এদিকে সোমবার তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলিতে রদবদলের পর থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মালদহ জেলা তৃণমূলের অন্তর্কলহ সামনে চলে এসেছে।
অপসারিত ব্লক সভাপতি, ক্ষোভ
সম্প্রতি মালদহের রতুয়া এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পদ হারিয়েছেন ফজলুর হক। তারপরই তিনি দলের জেলা চেয়ারম্যান ও রতুয়ার বিধায়ককে নিশানা করেছেন। বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেই জানিয়েছেন, তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই তিনি পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। তাঁকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে অজয় সিংকে।
ব্লক সভাপতি বনাম বিধায়ক
অজয় সিংয়ের কাছে পদ হারানোর পরই তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ফজলুর হক। বিস্ফোরক অভিযোগ করে ফজলুর হক বলেন, ২০১৩ সালে সমর মুখোপাধ্যায় যখন কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন তখন তাঁর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন আমার স্ত্রী। তখন থেকেই তিনি আমাকে শত্রু মনে করেন।
একঘরে করার চেষ্টা!
ফজলুর হক আরও বলেন, ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমাকে একঘরে করার চেষ্টা করছেন সমর মুখোপাধ্যায়। এবার তিনি আমাকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেই কাজে সফল হলেন। ২০১১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। তখন থেকেই আমি তৃণমূলের রতুয়া এক নম্বর ব্লকের সভাপতি পদে রয়েছে। এতদিনে আমাকে সরিয়ে দিয়ে সমরবাবুর উদ্দেশ্য সফল হল।
বুমেরাং হতে পারে কোন্দল
সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেও, তা গায়ে মাখতে নারাজ তিনি। তিনি এ বিষয়ে কোনও মুখ খুলতে চাননি। তবে এই ঘটনা যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের কাছে বুমেরাং হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ব্লক সভপাতি করার ক্ষমতা বিধায়ক বা জেলা কমিটি কারও নেই। রাজ্য নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নেয়। তাই ফজলুর হকের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।
তৃণমূলে ফের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব
উত্তর দিনাজপুরে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিধায়ক। আবার মালদহে বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ব্লক সভাপতি। এই প্রবণতা দলের পক্ষে মারাত্মক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সর্বত্রই তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসা বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবেই। বিজেপির তরফে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলে ফের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে বলে কটাক্ষ বিজেপির।