তৃণমূলের আনা অনাস্থায় বদলে গেল পঞ্চায়েতের রং, বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে 'নয়া' ব্যাখ্যা দলেরই সদস্যদের
তৃণমূলের আনা অনাস্থায় বদলে গেল পঞ্চায়েতের রং, বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে 'নয়া' ব্যাখ্যা দলেরই সদস্যদের
তৃণমূলের (trinamool congress) ডাকে বিজেপি (bjp) পরিচালিত উত্তর দিনাজপুরের (north dinajpur) করণদিঘির (karandighi) আলতাপুর (altapur) ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা। যাতে অংশ নিল বিজেপির উপপ্রধানসহ তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের নির্বাচিত সদস্যরা। সবাই সমর্থন করায় পঞ্চায়েতের দখল চলে গেল তৃণমূলের হাতে।
এদিন ছিল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
এদিন
প্রধানের
বিরুদ্ধে
অনাস্থা
ভোট
আনে
তৃণমূল।
যা
পাশ
হয়
১০/১
ভোটে।
এরফলে
বিজেপির
দখলে
থাকা
উত্তর
দিনাজপুরের
করণদিঘির
আলতাপুর
২
গ্রামপঞ্চায়েত
তৃণমূলের
দখলে
চলে
গেল।
স্থানীয়
প্রশাসন
সূত্রে
খবর,
সামনের
সপ্তাহে
পঞ্চায়েত
আইন
অনুযায়ী
তৃণমূল
কংগ্রেসের
প্রধান
নির্বাচন
হবে।
মঙ্গলবার
প্রধানের
বিরুদ্ধে
অনাস্থা
ভোটে
১৭
সদস্যের
মধ্যে
১১
জন
উপস্থিত
ছিলেন।
বিজেপির
প্রধান
পবন
সিংয়ের
বিরুদ্ধে
১০
জন
সদস্য
ভোট
দেন।
অনাস্থা
পাশ
হয়ে
যায়।
করণদিঘির
তৃণমূল
কংগ্রেস
বিধায়ক
গৌতম
পাল
জানিয়েছেন,
বিজেপি
পরিচালিত
আলতাপুর
২
নং
গ্রাম
পঞ্চায়েতে
কোনও
উন্নয়নমূলক
কাজ
হচ্ছিল
না।
ফলে
বিজেপির
সদস্যরাই
অনাস্থা
ডেকেছিল।
এখন
থেকে
আলতাপুর
২
নং
গ্রাম
পঞ্চায়েত
এলাকায়
উন্নয়ন
হবে
বলে
আশ্বাস
দিয়েছেন
তিনি।
সাধারণ মানুষের স্বার্থে দলবদল
দলবদলকারী পঞ্চায়েতের সদস্যরা জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষের স্বার্থে এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট থেকে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বিজেপি সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপিতে থেকে কোনও সন্মান পাচ্ছিলেন না। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামের মানুষের পরিষেবা তাঁরা দিতে পারছিলেন না। সেকারণে গেরুয়া শিবির ছেড়ে মানুষের ও গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর অবস্থা
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির আলতাপুর ২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের মোট ১৭ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৯ টি, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৫ টি এবং বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৩ টি আসন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি ক্ষমতা দখল করে। বিজেপি পরিচালিত আলতাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন পবন সিং।
দুর্নীতির অভিযোগে সরব উপপ্রধান
তবে তিনবছর কাটতে না কাটতেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপিরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। উপপ্রধান ফুলেন মাহাতোর অভিযোগ, প্রধান কোনও উন্নয়নমূলক কাজ না করে দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি দলে তাঁদের কোনও সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামের মানুষের কোনও উন্নয়ন তাঁরা করতে পারছেন না। ফলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।