দুর্ঘটনায় ছিন্ন হাত ওয়ার্ড থেকে গেল কুকুরের মুখে! চরম গাফিলতির অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিরুদ্ধে
দুর্ঘটনায় ছিন্ন হাত ওয়ার্ড থেকে গেল কুকুরের মুখে! চরম গাফিলতির অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিরুদ্ধে
হাসপাতাল (hospital) চত্বরে কুকুরের মুখে কাটা হাত দেখে শিউরে উঠেছিলেন সেখানে যাওয়া রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কাটা হাত এল কোথা থেকে? জানা যায় রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শিলিগুড়ির (siliguri) এক যুবক (youth)। তাঁরই হাত সেটি। অপারেশন থিয়েটারে না গিয়ে হাত কী করে কুকুরের মুখে গেল তা নিয়ে চাপানউতোর রোগী ও উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ- হাসপাতাল (North Bengal Medical College Hospotal) কর্তৃপক্ষের মধ্যে। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপরের মহল থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়।
রবিবার ক্ষীণ আশা ছিল
রবিবার শিলিগুড়িতে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখন হন দুর্গাদাস কলোনির বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার। তাঁর একটি হাত কাটা যায়। সেই কাটা হাত-সহ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন অপারেশনের মাধ্যমে হাত জোড়া লাগানো সম্ভব। যদিও তা আর হয়ে ওঠেনি।
সকালে হাত গেল কুকুরের মুখে
এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায় একটি কুকুরের মুখে হাতের অংশ। সেই সময় যুবক অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে। এই খবরপাওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্য থেকে বন্ধু সকলেই।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ
দুর্ঘটনায়
আহত
সঞ্জয়
সরকারের
পরিবারের
সদস্য
ও
বন্ধুরা
জানিয়েছেন,
হাসপাতালে
চিকিৎসা
শুরু
হওয়ার
পরে
তাঁদেরকে
প্রাথমিকভাবে
ওয়ার্ড
থেকে
বের
করে
দেওয়া
হয়েছিল।
পরে
তাঁরা
ফের
যুবকের
বেডের
কাছে
যেতে
সমর্থ
হয়েছিলেন।
তাঁদের
অভিযোগ,
হাসপাতালের
ওয়ার্ড
থেকেই
কিছুক্ষণের
মধ্যেই
কাটা
হাতটি
উধাও
হয়ে
যায়।
তাঁরা
বলছেন,
কাটা
হাত
জোড়া
লাগানো
যাবে
সেই
আশা
নিয়ে
হাতটি
নিয়ে
তাঁরা
এসেছিলেন।
সেই
হাতই
চলে
গেল
কুকুরের
মুখে।
পরিবারের
সদস্যদের
আরও
অভিযোগ,
হাত
কোথায়
গেল,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
করায়,
কর্তৃপক্ষের
তরফে
পাল্টা
চাপ
দিয়ে
বলা
হয়
কেন
ওই
হাত
নিজেদের
কাছে
না
রেখে
রোগীর
পাশে
রাখা
হয়েছিল।কিন্তু
পরিবারের
সদস্য
এবং
সঞ্জয়ের
বন্ধুদের
পাল্টা
প্রশ্ন,
হাসপাতালের
ওয়ার্ডের
মধ্যে
ঢুকে
কীভাবে
কুকুর
হাতের
টুকরো
নিয়ে
গেল?
ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের
সঞ্জয় সরকার নামে ও যুবক বাংলাপক্ষ সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। যে কারণে সংগঠনের সদস্য সমর্থকরাও হাসপাতালে ভিড় জমান। তাঁরা সুপার ও কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন। হাসপাতালের সুপার অভিযোগ খতিয়ে দেখা আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গরিব পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের এই অবস্থার কারণে সংগঠনের তরফে প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়েছে। পরে জানা যায় এব্যাপারে প্রশাসনের ওপরমহল থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে আগেও উদাসীনতার ছবি
শুধু এদিনই নয়, দিন কয়েক আগে কাটোয়া হাসপাতালে মর্মান্তিক এবং চর উদাসীনতার ছবি সবার সামনে এসেছে। সেখানে সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল একটি কুকুরকে।