
৭২ জন পড়ুয়াকে নিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ল স্কুলবাস, আহত বহু
স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে উলটে গেল বাস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বলে জানা যায়। ঘটনার সময়ে বাসটিতে ৭২ জন পড়ুয়া ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। তবে ঘটনায় ২০ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেই খবর।

আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাসটি সে জেলার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের। স্কুল থেকে ফেরার পথেই ভয়াবহ দুরঘটনটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে প্রথমিক ধারণা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই স্কুলবাসটি উলটে যায়। তবে কত গতিতে বাসটি চালানো হচ্ছিল অন্যান্য সমস্ত কিছু ঠিক ছিল কিনা তাও মালদহ পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনার পরেই মালদহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সঙ্গেও পুলিশ যোগাযোগ রাখছে বলে খবর। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের তরফে দেখা হচ্ছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন ছুটে আসে। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান।
উলটে যাওয়া বাসে আটকে থাকা পড়ুয়াদের দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে স্থানীয় মানুষজনের দাবি, বাসটি আসতে যাচ্ছিল। তাহলে কীভাবে সেটি উলটে গেল তা খতিয়ে পুলিশ দেখছে বলেই খবর।
ঘটনায় আহত এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুরের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় একটা বিশাল বড় গর্ত ছিল। সেখানেই চাকা পড়ে যেতে বিপত্তি বলে দাবি আহত ওই পড়ুয়ার। তাঁর মতে, সেখানে চাপা পড়তেই গোটা বাসটি রাস্তার ধারে উলটে যায়। সেই সময়ে বাসে ক্লাস ১১ এবং ১২ সমস্ত স্টুডেন্ট ছিল বলেও জানিয়েছে সে। তবে বিশেষ ভাবে কিছু বলতে পারেননি সে ছাত্র। কার্যত চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল তাঁর আতঙ্ক।
ঘটনার পরে কার্যত ভেঙে পড়েছেন আহত পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কীভাবে ঘটনা সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও মন্তব্য ওই পুলিশ আধিকারিকের।