তৃণমূল কংগ্রেসে বিভাজন রেখা স্পষ্ট, কোচবিহারের ত্রিমূর্তিকে দিশা দেখালেন প্রশান্ত কিশোর
তৃণমূলে বিভাজন রেখা স্পষ্ট, কোচবিহারের ত্রিমূর্তিকে দিশা দেখালেন প্রশান্ত কিশোর
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের যতজন নেতা, ততগুলি গোষ্ঠী খাঁড়া হয়ে গিয়েছে। যার জন্য ২০১৯-এর লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু ২০২১-এর প্রাক্কালেও সেই একই ভুল করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলাতেই সবথেকে বেশি গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। এবার এই গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন প্রশান্ত কিশোর।
দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব, বার্তা পিকের
শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে একে অপরের বিরোধিতার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। কলকাতার বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর ছাড়াও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো প্রথম সারির নেতারা। সেখানেই প্রশান্ত কিশোর কোচবিহারের তথাকথিত নেতাদের জানিয়ে দেন, এভাবে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব করলে ফল ভালো হবে না। একইসঙ্গে চলতে হবে সবাইকে।
তৃণমূল নেতারা স্ব-স্ব প্রধান জেলায়
এরপর প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বর্তমান সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, বিধায়ক মিহির গোস্বামীরা কথা দিয়ে যান, তাঁরা একসঙ্গে চলবেন। আর কোনওরকম দ্বন্দ্বে তাঁরা নিজেরা জড়িয়ে পড়বেন না। উল্লেখ্য, এই জেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল নেতারা স্ব-স্ব প্রধান হয়ে উঠেছিলেন।
জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব
এই দ্বন্দ্বে একপক্ষে ছিলেন পার্থপ্রতিম রায়, উদয়ন গুহ। অপরপক্ষে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মিহির গোস্বামী ছাড়াও ছিলেন পাঁচ বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, হিতেন বর্মন, অর্ঘরায় প্রধান, জহগীশ বসুনিয়া ও ফজল করিম মিয়াঁ। দুই পক্ষই জেলা ও ব্লক কমিটিতে নিজেদের লোকের জন্য সওয়াল করেন।
সমীক্ষা রিপোর্ট ধরে নেতাদের অবস্থান
এই বিরোধ ভালোভাবে নেননি প্রশান্ত কিশোর। তিনি স্বয়ং জেলার নেতাদের সাবধান করে দেন। জেলার নেতা-বিধায়কদের বিরোধে জড়িয়ে পড়া ২০২১-এর আগে শুভলক্ষণ নয়। এরপরই পিকে সমীক্ষা রিপোর্ট ধরে বুঝিয়ে দেন জেলা নেতাদের অবস্থান। কার ভাবমূর্তি কেমন তা জানিয়ে কোথায় কাকে রাখলে সুবিধা হবে প্রচারে তাও জানান প্রশান্ত কিশোর।
পাঁচ নেতার নামে দুর্নীতির অভিযোগ
এদিন প্রশান্ত কিশোর সবার সামনে জানিয়ে দেন পাঁচ জন নেতার নাম উঠে আসে, যাঁদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ওই পাঁচজন নেতাকে দলের কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না। এই তালিকায় রয়েছে দিনহাটার দু-জন এবং কোচবিহার সদরের দুজনের নাম রয়েছে।
মুকুল-অনুগামীরাই সফট-টার্গেট! বিজেপিতে যোগদানকারীদের বিশ্বাসঘাতক তকমা তথাগতর