অবৈধ বালি-পাথর কারবারিদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, আহত একাধিক
রাজ্যে ফের একবার আক্রান্ত পুলিশ! বেআইনি বালি এবং পাথর কারবারিদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ সাত থেকে আটজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিংও।

অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে। মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনিক এক বৈঠকে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা কিংবা সাদা পাথর তোলা বন্ধের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই বিষয়ে পুলিশকে কড়া হওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। আর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন নির্দেশের পরেই বেআইনি বালি এবং পাথর কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা।
মূলত ঘিস নদীতে বালি পাথরের অবৈধ কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। বেশ কয়েকটি জিনিস পুলিশের তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, একজনকে আটকও করা হয় বলে জানা যায়।
আর এরপরেই স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। আর তা ধীরে ধীরে রণক্ষেত্রের আকার নেয়। এলাকার মানুষজনকে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর তা ঠেকানোর চেষ্টা হয় পুলিশের তরফে। আর তা নিয়েই কার্যত দুপক্ষের মধ্যে খন্ডজুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি।
আর সেই ইটের আঘাতে সাত থেকে আটজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুত আহত পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আহিত পুলিশ কর্মীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন।
তবে এই ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে যান মালবাজারের আই সি সুজিত লামা, এস ডি পি ও রবীন থাপা এবং জলপাইগুড়ির এস পি দেবর্ষী দত্ত'র মতো আধিকারিকরা। ঘটনার পরেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায়।
এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকায় একটা থমথমে ব্যাপার রয়েছে। তবে এই ঘটনায় ফের একবার শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে পুলিশও সুরক্ষিত নয়, এটাই প্রমাণ।