Mamata-Abhishek: মমতার অনুরোধে প্রশাসনিক সভামঞ্চে অভিষেক! পিসি-ভাইপোর রয়াসনকে কটাক্ষ বিরোধীদের
Mamata-Abhishek: মমতার অনুরোধে প্রশাসনিক সভামঞ্চে অভিষেক! পিসি-ভাইপোর রয়াসনকে কটাক্ষ বিরোধীদের
মুখ্যমন্ত্রী তথা পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা মঞ্চে হাজির বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি জনতার উদ্দেশে প্রণাম করে নেমে যান।
মঞ্চ থেকে অভিষেককে অনুরোধ মমতার
আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা মঞ্চ। মঞ্চে রয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। ভাষণ দিচ্ছেন সরকারের প্রধান। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার মঞ্চে আসতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখন এসেছো একবার নমস্কার করে নেমে যাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুধবার একসঙ্গে তাঁরা মেঘালয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় অভিষেক জানান, না দিদি যাব না। তিনি এটা পছন্দ করেন। যাঁরা মঞ্চে রয়েছেন, তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে সরকারের সঙ্গে যুক্ত। সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক লোক কেন থাকবে? এমনটাই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিষেক বলেছেন, যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সকলেই সরকারি পদে রয়েছেন।
সাংসদ হিসেবে থাকা যায়
অভিষেকের কথার উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ও একজন সাংসদ হিসেবে মঞ্চে থাকতে পারে। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথোপকথনের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠে জনগণের উদ্দেশে নমস্কার করে নেমে যান।
পিসি-ভাইপোর রয়াসন
কেউ বলছেন আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনা পিসি-ভাইপোর মিষ্টি রসায়ন। আবার কেউ বলছেন, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় থাকতে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে নিজের জায়গা ছাড়তে চলেছেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। বিজেপির নেতারা বলছেন, বিজেপির ভয়েই তা করছেন। অন্যদিকে বামেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকেই বিশ্বাস করেন না, সেই কারণেই উত্তরাধিকার বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর সঙ্গী ছিলেন, তিনি প্রশাসনিক সভা মঞ্চে উঠে নেমে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি সাংসদ হিসেবে থাকতেই পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় দলের সাংসদ-বিধায়করা ডাক পেলেও বিরোধী কোনও সাংসদ-বিধায়করা ডাক পান না। এক্ষেত্রে কি মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনবার্লাকে মঞ্চে উঠতে দিতেন। কিংবা ভবিষ্যতে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে কি তিনি বিরোধী দলের কোনও সাংসদকে উঠতে দেবেন, সেই প্রশ্ন থেকেই গেল।
ঝালদা পুরসভায় ফের অনিশ্চয়তার মেঘ, খারিজ চেয়ারপার্সনের কাউন্সিলর পদ