করোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর বাতিল উত্তরবঙ্গের রাসমেলা
করোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর হচ্ছে না কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গ ও নিম্ন আসামের সবথেকে বড় মেলা রাসমেলা। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছে প্রায় ৩০০০ ব্যবসায়ীর।
করোনা
পরিস্থিতির
কারণে
এ
বছর
মেলা
হবে
কি
না
বেশ
কয়েকদিন
ধরেই
গুঞ্জন
চলছিল।
শনিবার
কুচবিহার
জেলা
প্রশাসনের
তরফে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্তে
মেলা
না
হওয়ার
কথা
জানিয়ে
দেওয়া
হল।
তবে
মেলা
না
হলেও
করোনা
পরিস্থিতিতে
ঐতিহ্য
পরম্পরা
মেনে
প্রত্যেক
বছরের
মতো
এ
বছরেও
কোচবিহার
মদনমোহন
মন্দিরের
ভেতরে
রাস
উৎসবের
ধর্মীয়
অনুষ্ঠান
পালিত
হবে
বলে
জানান
হয়েছে
জেলা
প্রশাসনের
তরফে।
তবে
এবার
মেলার
মাঠে
একটিও
খুঁটি
বসানো
হবে
না
বলে
জানিয়েছেন
কোচবিহার
পৌরসভার
পৌর
প্রশাসক
ভূষণ
সিং।
প্রসঙ্গত, দুশো বছরেরও বেশী পুরনো কোচবিহারের রাজ আমলের মদনমোহনের এই রাস উৎসব। প্রতিবছর রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে কোচবিহার এমনকি ভিন জেলা ও আসাম থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে মদনমোহন মন্দিরের এই রাস উৎসবে। এই উৎসব কে কেন্দ্র করেই বিরাট মেলা বসে কোচবিহারে। প্রায় ৫০০০ এর বেশি ছোট বড় দোকান নিয়ে এই মেলা হয়।মদনমোহন মন্দিরের রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে কোচবিহার পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিবছর রাসমেলা ময়দানে এই মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকেও বহু ব্যবসায়ীরা এই মেলায় দোকান নিয়ে আসেন।
১৫ থেকে ১৮ দিন ব্যাপী চলে এই রাসমেলা। কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর কারণে সেই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলার মাঠে কোন মেলা বসবে না । তার পরিবর্তে অন্য কোথাও সেলফ্ হেলফ্ গ্রুপের বিভিন্ন স্টল বসিয়ে তাদের তৈরী করা জিনিসপত্র বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হবে । বাইরের কোন ব্যবসায়ী থাকবেন না। এমনকি মাঠেও কোনো ব্যবস্থা হবে না।
যদিও বা এই সিদ্ধান্তে কিছুটা মন খারাপ কোচবিহারের। কারন এই মেলা কোচবিহারের একান্ত নিজশ্ব উৎসব। ছোট থেকে মাঝারি ও বড় প্রত্যেক বছর প্রচুর ব্যবসায়ী এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের রুজি রোজগার মেলার ওপরে চলে, সেক্ষেত্রে সে সব পরিবার গুলির সমস্যা হবে। যাযাবর জন জাতীর প্রচুর মানুষ আসেন মেলায়, তাঁদেরও ক্ষতি।