কালিম্পং চায় জিটিএ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে, পাহাড় সফরের আগে মমতাকে চিঠি বিধায়কের
কালিম্পং পাঁচ বছর আগেও দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত ছিল। স্বাভাবিকভাবে কালিম্পংয়েও চলত জিটিও শাসন। কিন্তু কালিম্পং পৃথক জেলা হলেও তা বিগত পাঁচ বছর ধরে জিটিএ-র অধীনেই রয়ে গিয়েছে।
কালিম্পং পাঁচ বছর আগেও দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত ছিল। স্বাভাবিকভাবে কালিম্পংয়েও চলত জিটিও শাসন। কিন্তু কালিম্পং পৃথক জেলা হলেও তা বিগত পাঁচ বছর ধরে জিটিএ-র অধীনেই রয়ে গিয়েছে। এখন কালিম্পং জিটিএ থেকে আলাদা হতে চাইছে। কালিম্পংকে আলাদা করার দাবিতে বিধায়ক এবার চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই যাচ্ছেন পাহাড় সফরে। তার আগে কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন। কালিম্পংকে আলাদা জেলা করার বার্তা দিলেন চিঠিতে। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের আগে তাঁর এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে জিটিএ নির্বাচনের দামামা বাজাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিধায়ক রুদেন লেপচা। তিনি লেখেন, অনেক আগেই কালিম্পংকে পৃথক জেলা করা হয়েছে। কিন্তু পৃথক জেলা হওয়ার পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছে না কালিম্পং। কেননা তারা এখনও গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র অন্তর্গত রয়েছে। তাই জিটিএ থেকে পৃথক হওয়ার জন্য এবার আবেদন জানানো হল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
বিধায়ক রুদেন লেপচা শুধু জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করার আর্জি জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, তিনি একইসঙ্গে কালিম্পংয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আওতায় আনার আর্জিও জানিয়েছেন। এবং কালিম্পংয়ের উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ গঠনের দাবিও জানান তিনি। মূলত একটা পূর্ণ জেলা হতে গেলে যা যা লাগে, সেই সুবিধা দিতে হবে কালিম্পংকে, এমনই দাবি করেন বিধায়ক রুদেন লেপচা।
বিধায়কের দাবি, কালিম্পং চিল মহকুমা। সেখান থেকে হয়েছে জেলা। যখন কালিম্পংয়ে পৃথক জেলা ঘোষণা করা হয়েছে, তখন বাংলার অন্যান্য জেলার মতোই সুবিধা দিতে হবে কালিম্পংকে। এখনও অর্ধেক জেলা হয়ে আছে কালিম্পং। কালিম্পংকে পূর্ণ জেলার মর্যাদা জেলার বাসিন্দাদের প্রাপ্য। তিনি বলেন, আমাদর দাবি নিশ্চয় কালিম্পংবাসী সমর্থন করবেন।
রবিবার শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিধায়ক রুদেন লেপচার এই দাবি নিয়ে কী বলেন, তা-ই দেখার। রবিবার বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়িতে পৌঁছে উত্তরা গ্রাউন্ডে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তিনি পাহাড়ে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
২৯ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার দার্জিলিং চৌরাস্তা মোড়ে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ৩০ মার্চ তিনি জিটিএ নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। ৩১ মার্চ তিনি শিলিগুড়িতে ফিরবেন। তার পরের দিন ১ এপ্রিল কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দীর্ঘ কর্মসূচিতে তিনি জিটিএ নির্বাচন ও কালিম্পংয়ের এই দাবি নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন বলেই রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে।