'তৃণমূল খুন হল, আবার আমাকেই গালাগাল দিচ্ছে, আমরা লাশ নিয়ে রাজনীতি করি না', উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই নিশানা মমতার
'তৃণমূল খুন হল, আবার আমাকেই গালাগাল দিচ্ছে, আমরা লাশ নিয়ে রাজনীতি করি না', উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই নিশানা মমতার
বাগডোগরায় পৌঁছে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তীব্র নিশানা করে বলেছেন, 'তৃণমূল খুন হল, তৃণমূলের ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে,আবার আমাকেই গালাগাল দিচ্ছে'। ঘটনার পর বগটুই গ্রাম থেকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার ২ ঘণ্টার মধ্যে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেনকে।
বিরোধীদের নিশানা মমতার
রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের ফের তীব্র নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিরোধী হিসেবে রাজ্যে থাকাকালীন অনেক গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লাশ নিয়ে কখনও রাজনীতি করেননি। এককথায় সিপিএম এবং কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বগটুই গ্রাম পরিদর্শনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন এই ঘটনায় বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশেরও প্রথমে ভুল হয়েছিল
পুলিশের গাফিলতি ছিল সেকথা বগটুই গ্রামেও এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। তারপরে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের নিশানা করার পাশাশি বলেছেন ঘটনার দিল পুলিশেরও ভুল হয়েছিল। তবে রামপুরহাটের ঘটনায় যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে এদিন আবার সেটা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনও তিনি একই দাবি করেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন যাঁকে খুন করা হয়েছে তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য এবং যাঁদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিেলন। কাজেই ক্ষতি আমাদেরই হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খুনের অস্ত্র উদ্ধার
খুনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। আজই ঘটনাস্থল থেকে হাঁসুয়া এবং শাবল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে তারপরে ঘরে শিকল তুেল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল গ্রামবাসীদের। বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হাসুয়া এবং শাবল। ঘটনাস্থলের ভিডিএ গ্রাফি করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও রেকর্ড করেছেন তাঁরা।
বিরোধীদের নিশানা কুণালের
কুণাল ঘোষও ঘটনার সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি আর সিবিআই এক যোগে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন তদন্ত প্রভাবিত করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের শাস্তির কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। নিজের দলের লোককেও রেয়াত করেননি তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। তিনি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।