অজ্ঞান কিশোরী, মানবিক মমতা বক্তৃতা থামিয়ে জলের বোতল নিয়ে এগিয়ে এলেন শুশ্রুষায়
অজ্ঞান কিশোরী, মানবিক মমতা বক্তৃতা থামিয়ে জলের বোতল নিয়ে এগিয়ে এলেন শুশ্রুষায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তখন প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঞ্চ থেকেই মাইক্রোফোন হাতে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, কী হয়েছে কী হয়েছে? অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এনাও চোখে-মুখে জল দাও। তারপর তিনি তাঁর কাছে থাকা জলের বোতল ছুড়ে দেন জনতার মাঝে অসুস্থ হওয়া কিশোরীর সেবায়।
শুধু জলের বোতল দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিহাইড্রেশন থেকে এই সমস্যা হতে পারে। আমি বক্তৃতা এখানেই শেষ করছি। বক্তৃতা পরে আবার হবে। এখন আগে মেয়েটির শুশ্রুষা করতে হবে। তিনি তাঁর টিমের সঙ্গে থাকা ডাক্তারকেও নির্দেশ দেন চিকিৎসার জন্য। তারপর বক্তৃতা সেখানেই শেষ করে নিজের হেঁটে যান অসুস্থ কিশোরীর কাছে।
অসুস্থ কিশোরীর গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংজ্ঞাহীন কিশোরী মুসকান পারভিন জ্ঞান ফিরতেই দেখে, সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী। মুসকান তার মা ও পরিবারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনতে এসলেছিল। কিন্তু গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এদিন আরও দু-জন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এসে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।
জ্বালাময়ী বক্তব্যের মাঝে হঠাৎ কিশোরীটি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভূমিকা নিলেন, তা প্রাণ ছুঁয়ে গেল সভায় উপস্থিত অনেকেরই। তিনি বলেন, একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে মনে হয়, এখন বক্তব্য় থামাচ্ছি। আগে ওকে সুস্থ করে তুলি। এই বলেই মুসকানের পৌঁছে যাওয়া গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া, হাতের নাড়ি টিপে দেখা- এমন নানা কাজে এক অন্য মমতাকে দেখা যায় এদিন।
রক্ত দেব, তবু বাংলা ভাগ হতে দেব না, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে হুঁশিয়ারি মমতার
মুসকানের মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলিপুরদুয়ারের উত্তর মসজিদ খানার নগেন্দ্র রায় এবং কার্তিকা চা বাগান অঞ্চলের বাসিন্দা আভা বারিক। তাদেরও শুশ্রুষার বন্দোবস্ত করা হয়। আর এদিকে মেয়ে অসুস্ত হয়ে পড়ায় বিচলিত হয়ে উঠেছিল তার মা। তিনি বলেন, মমতাদি নিজে এসে দেখে গিয়েছেন। আমাদের দিদি তো এরকমই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন, নিজে ছুটে এসেছেন।
Recommended Video