দার্জিলিংয়ে পা রেখেই মমতাকে ডাকলেন ধনখড়, বৈঠকে থাকলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মাও
গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়েই রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আজ বুধবার দার্জিলিং সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে পৌঁছেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে আসার জন্যে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল ধনখড়।
সংঘাতের আবহেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়েই রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আজ বুধবার দার্জিলিং সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে পৌঁছেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে আসার জন্যে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল ধনখড়।
আর এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জান বলে জানা যাচ্ছে। তবে কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এই তলব কিংবা সাক্ষাৎ কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অসমের বিজেপি'র মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত রয়েছেন
তবে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য কোনও বিষয় নয়, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই এদিন মমতাকে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে ডাকা হয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আগেই দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। আর এরপরেই সেখানে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যপালের উপস্থিতি হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে মমতার কোনও বৈঠক হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে একাধিক ইস্যুতে যখন রাজভবন এবং নবান্ন সংঘাত তুঙ্গে সেখানে ধনখড়-মমতা বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেখানে অসমের বিজেপি'র মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত রয়েছেন।
সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে
বলে
রাখা
প্রয়োজন,
আজ
বুধবার
উত্তরবঙ্গ
সফরের
আগেও
রাজ্য
প্রশাসনের
বিরুদ্ধে
তোপ
দাগেন
জগদীপ
ধনখড়।
বাগডোগরা
বিমান
বন্দরে
সাংবাদিকদের
তিনি
বলেন,
'নাগরিক
এবং
বিশিষ্ট
জনেদের
এগিয়ে
আসার
এটাই
উপযুক্ত
সময়।
রাজ্যের
শাসনব্যবস্থার
বিরুদ্ধে
মুখ
খুলুন
ওঁরা।
ওঁদের
নীরবতা
অত্যন্ত
পীড়াদায়ক।
আমলারা
সব
প্রশাসনের
হাতের
পুতুলে
পরিণত
হয়েছেন।'
এর
আগে
আমলাদের
তীব্র
নিশানা
করেছেন
রাজ্যপাল।
শুধু
তাই
নয়,
তিনি
বলেন,
আমাদের
রাজ্যে
প্রশাসনিক
একাধিক
গভীর
সমস্যা
রয়েছে
যেটা
সকলেই
জানে।
কিন্তু
ভয়ের
কারণে
এমনকি
সংবাদমাধ্যমও
সেসব
বিষয়ে
কথা
বলতে
চায়
না।
রাজ্য
যেসব
সমস্যার
সম্মুখীন
হচ্ছে
আমি
চাই
সমাজ
ও
বুদ্ধিজীবীদের
অনুরোধ
করব
যাতে
তারা
সেসব
নিয়ে
সরব
হয়।
নাগরিক
সমাজ
ও
বুদ্ধিজীবীদের
নিশ্চুপতা
আমার
কাছে
খুব
বেদনাদায়ক।
আর
এরপরেও
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
সাক্ষাৎ
ঘিরে
জল্পনা
আরও
তীব্র
হয়েছে।
তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী'র
অন্যদিকে নাম না করে ফের একবার বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আক্রমণ মোদীকেও। আজ দার্জিলিংয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেখানে বলেন, ভেদাভেদ বড় মানুষ করে না। যিনি বড় হোন তাঁর মনও বড় হয়। মানবিক হয়। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে উনি চলতেও জানেন বলে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেন নেতা কারোর পায়ে পড়ে না। নেতা'র জন্ম হয় মাটি থেকে। আর তাঁকেই মানুষ মনে রাখে বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
'সম্পর্ক থাকা উচিৎ...'! হিমন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কেন এমন বললেন মমতা?