২০০ বছরের প্রাচীন রাসমেলা না হওয়ায় মাথায় হাত দিনহাটার ব্যবসায়ীদের
২০০ বছরের প্রাচীন রাসমেলা না হওয়ায় মাথায় হাত দিনহাটার ব্যবসায়ীদের
করোনা অতিমারি পরিস্থিতির কারণে এবছর ২০০ বছরের প্রাচীন রাসমেলা না হওয়ায় মাথায় হাত মেলাকে কেন্দ্র করে অপেক্ষায় থাকা ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে দুশো বছরের রাস উৎসব না হওয়ায় সব আবেগ ধুয়ে মুঝে একাকার দিনহাটা মহকুমা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, প্রতিবছরই রাসমেলায় ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে ব্যবসায়ীরা ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন রকম দোকান নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর করোনা আবহে মেলা না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এর ফলে বেশ কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হল বলে মত ব্যবসায়ীদের।
প্রতিবছর রাস মেলায় দোকান দেন বহু ব্যবসায়ী। অধিকাংশ থাকে শীতের বস্ত্র নিয়ে। এ বছরও মেলার জন্য কয়েক মাস আগেই কম্বলের অর্ডার দিয়েছিলেন কিছু কিছু ব্যবসায়ী। সেইমতো কম্বলও এসেছে। কিন্তু মেলা না হওয়ায় প্রায় দুই হাজার কম্বল কিভাবে বিক্রি হবে তা নিয়ে চিন্তিত।
ব্যবসায়ীর কথায়, প্রতিবছর রাসমেলায় প্রথম কয়েকদিন সেভাবে মেলা জমে না। তাই বিক্রি সেভাবে না হলেও শেষের দিকের আট থেকে ১০ দিন বেশ ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন দামের প্রায় চার হাজার কম্বল বিক্রি করেন।
কিন্তু এ বছর এত কম্বল বিক্রি না হলে আর্থিকভাবে অনেকটাই ক্ষতি হবে। কোচবিহারের রাসমেলা এবছর না হওয়ায় দিনহাটার এই কম্বল বিক্রেতা কখনও শহরের সংহতি ময়দানে আবার কখনও রাস্তার ধারে বসে কম্বল বিক্রির চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে, দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, 'কোচবিহারের মদনমোহনের রাস উৎসব ও রাসমেলা উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ মেলা। এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে ব্যবসায়ীরা। করোনা আবহে এবছর মেলা না হওয়ায় মফিজুলের মত অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তো হলোই।
তাছাড়াও এই মেলা ঘুরে গোটা মহাকুমার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে যা এবছর ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল শুধু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে। যে কারণে মানুষের ভাবাবেগ এবং ঐতিহ্যে আঘাত পড়েছে।
দুটি পৃথক পৃথক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দশটি ঝুপড়ি