অজ্ঞাত কারণে ধূপগুড়িতে মৃত্যু শতাধিক কুকুরের, চাঞ্চল্য এলাকায়
অজ্ঞাত কারণে ধূপগুড়িতে মৃত্যু শতাধিক কুকুরের, চাঞ্চল্য এলাকায়
অজ্ঞাত কারণে গত ৪৮ ঘণ্টায় ধূপগুড়িতে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক রাস্তার কুকুরের, ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাত থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক কুকুর মারা গিয়েছে। কোনও কোনও কুকুরের আবার পা বসে যাচ্ছে বা প্যরালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু কুকুর শুয়ে থাকতে থাকতেই হঠাৎ মরে যাচ্ছে। কিন্তু এর কোনও কারণ কারও জানা নেই। একসঙ্গে এতগুলো কুকুরের মৃত্যুতে হকচকিয়ে গিয়েছে এলাকার বাসিন্দারাই। এইভাবে গত কয়েক ঘন্টায় একটানা প্রায় দশটি কুকুর মারা গিয়েছে ওই এলাকায়। এতগুলি কুকুরের হঠাৎ মৃত্যুতে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এভাবে নাকি প্রত্যেক পাড়াতেই রোজ দশ-বারোটি করে কুকুর মারা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধুপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় আকছার চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে কিন্তু যেই পাড়াগুলোয় বেশি কুকুর থাকে সেখানে চুরির সংখ্যা কম। আর সেই পাড়া গুলোতেই মারা যাচ্ছে কুকুরগুলি। সম্ভবত পরিকল্পনা করেই কেউ বা কারা কীটনাশক দিয়েই মেরে ফেলছে কুকুরগুলিকে। ধূপগুড়ি পৌরসভায় এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেউই কোন মন্তব্য করতে চাননি। ধূপগুড়ি পুরসভা মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়, 'অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।'
ঘটনার প্রেক্ষিতে পশুচিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, কোনও প্রকার কীটনাশক থেকেই এমনটা হচ্ছে। আবার কোনও সংক্রামক রোগও এর কারন হতে পারে। সম্ভবত এই সংক্রামক রোগটির নাম কেনিয়ান কার্গো।
চিকিৎসকদের মতামত, কেনিয়ান কার্গো রোগ সাধারণত আড়াই মাস কিংবা তিনমাসের কুকুরছানার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে যে কুকুর গুলি মারা যাচ্ছে সেগুলি শুধু আড়াই বা তিনমাসের নয়, অনেক প্রাপ্তবয়স্ক কুকুরও মারা যাচ্ছে। যেসব কুকুরগুলিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেগুলির প্রাথমিক উপসর্গ রক্ত পায়খানা বা ভেদ বমি।
কোন জেলা আগে করোনা-'মুক্ত’ হবে বাংলায়, জোর টক্কর সক্রিয়ের সংখ্যায়