জলপাইগুড়িতে পণের বলি গৃহবধূ
এযুগে এসেও পণপ্রথার অবসান হয়নি। পণের বলি হয়ে আবারও এই সমাজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখে গেল জলপাইগুড়ি জেলার গৃহবধূ। বিয়ের ছয় মাসের মধ্যেই নববধূকে গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক স্বামী শ্বশুর সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের জহুরি তালমা এলাকার বাসিন্দা নম্রতা বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজগঞ্জের কালিনগর এলাকার বাসিন্দা জয়দেব বালার। গৃহবধূর পরিবার জানায়, বিয়েতে ছেলের পরিবারের দাবি মত সোনাদানা ও আসবাবপত্র সহ ৪ লক্ষ টাকার সামগ্রী পণ হিসেবে দিয়ে ছিল কনের পরিবার। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে প্রতিদিন নিত্য নতুন পণের দাবিতে নম্রতার ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাদের পছন্দ মতন জিনিস আনার জন্য চাপ দিত।
না এনে দিতে পারলেই নম্রতাকে বাড়ির সবাই মিলে মারধরের পর খেতেও দিত না এবং তার স্বামীকে ফের অন্য যায়গায় বিয়ে দেবে বলে তার উপর মানসিক চাপ তৈরি করতো বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে দুদিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ফোন করে জানায়, 'সে মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে'। গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ।