বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কা, একুশের আগে ৪ হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী যোগ দিলেন তৃণমূলে
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আহ্বান জানিয়েছিলেন- ফিরে আসুন তৃণমূলে। তারপরই মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে রদবদল করেছিলেন সংগঠনে। জেলায় জেলায় নতুন সভাপতি বসিয়েছিলেন।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আহ্বান জানিয়েছিলেন- ফিরে আসুন তৃণমূলে। তারপরই মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে রদবদল করেছিলেন সংগঠনে। জেলায় জেলায় নতুন সভাপতি বসিয়েছিলেন। তারপরই বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। কোচবিহারে চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে।
বিজেপি ভেঙে বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস
কোচবিহার তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পার্থপ্রতীম রায়। তাঁর হাত ধরে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু বিজেপি নয়, অন্য বিরোধী শক্তিকেও ভাঙিয়ে নিজেদের দিকে আনছে তারা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের সংগঠন বাড়ানোই তৃণমূলের উদ্দেশ্য।
একনাগাড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় বিজেপি জয়ী হয়েছিল তৃণমূলকে হারিয়ে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাই বিজেপিকে খর্ব করাই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। গত কয়েকদিন ধরে কোচবিহারে একনাগাড়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। ফের কোচবিহারের চার জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রী যোগ দিলেন তৃণমূলে।
বিজেপি ছেড়়ে তৃণমূলে যোগ চার হেভিওয়েটের
কোচবিহার জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে দলবদল অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন ওই চার নেতা-নেত্রী। কোচবিহার দু-নম্বর ব্লকের প্রভাবশালী নেতা পরিমল রায়, বিজেপির প্রাক্তন মহিলা জেলা সম্পাদক কমলা সরকার, বিজেপির ৩২ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সহ সভাপতি কুমারজিৎ সরকার ও বিজেপি নেত্রী শোভানারি সাহা এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
চার নেতা-নেত্রীকে স্বাগত জানান তৃণমূল
বিজেপি ছেড়ে আসা চার নেতা-নেত্রীকে স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নব নির্বাচিত জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। তিনি বলেন, বিজেপি ছেড়ে চারজন নেতানেত্রী যোগ দিয়েছেন আমাদের দলে। আমরা সাত দফায় যোগদান করাব আরও নেতানেত্রীকে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই দলবদল চলবে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিজেপি যুব মোর্চা ছেড়েও তৃণমূলে আসছেন অনেক নেতা-কর্মী।
তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি উত্তর দিনাজপুরেও
উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া অঞ্চলে এই দলবদল হয়। রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। এই যোগদানের ফলে উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল শক্তি বাড়াল। ২০২১-এর আগে বিজেপিকে হারাতে সংগঠন বাড়ানোই এখন লক্ষ্য তৃণমূলের।
বিজেপির পাশাপাশি বাম শিবিরেও ফাটল
২০১৬-র পর থেকেই বাম শিবিরে ফাটল দেখা দিচ্ছে। সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপিতে ভাঙন ধরেছে। এখনও সেই ধারা অব্যাহত। সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে উত্তর দিনাজপুরে শতাধিক পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিল। উত্তরবঙ্গে সংগঠন বাড়ানোয় জোর দিয়েছে তৃণমূল।